মসজিদে ঢুকেও রক্ষা পেল না, ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুরে বালু ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার এবং তাদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার। পলাশ মুজাম সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় একই এলাকার শাজাহান মোল্লার সঙ্গে। এরই জেরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের উপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন।
এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে সাইফুলের বড় ভাই আতাউর ও চাচাতো ভাই অলিল ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে। এ ঘটনায় আহত আহত হন অন্তত ৫ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে ভর্তি করা ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার।
স্থানীয়রা জানান, খোয়াজপুরের শাজাহান খান লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে এই হামলা চালায়। বাঁচতে নিহতরা স্থানীয় মসজিদে ঢুকেও শেষ রক্ষা পায়নি। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা (সদর সার্কেল) বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ। নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি টহল ও অভিযান জোড়দার করা হয়েছে। অপরাধীরা শিগগিরই ধরা পড়বে।
মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) ভাষ্কর সাহা বলেন, বালু ব্যবসার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এরইমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। এ ব্যাপারে অপরাধী প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।