আলকামা সিকদার,টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুর পাহাড়ি লালমাটির অঞ্চলে দিন গড়াচ্ছে আর জেঁকে বসছে প্রচন্ড শীত। তাই এই শীতে জুবুথুবু হয়ে রাত পার করেছে নিন্ম আয়ের মানুষেরা। এই শীতকে লাঘবের জন্য রাতের ফেরিওয়ালা হয়ে গভীর রাতের আঁধারে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ শীত বস্ত্র নিয়ে ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন। নিজ হাতে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছেন শীতার্ত নিপিড়ীত মানুষের গায়ে।
শনিবার (২১ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কাকরাই বাসস্ট্যান্ড ও মোটের বাজার এলাকায় ১০০টি শীতবস্ত্র (কম্বল) সুবিধাবঞ্চিত অসহায় ব্যক্তিদের গায়ে জড়িয়ে দেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়ছেন মধুপুর উপজেলার অনেক অসহায়, গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষ। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন এই নির্বাহী কর্মকর্তা।
কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ যখন গায়ে শীতবস্ত্র (কম্বল) দেখে ছিন্নমূল দুঃস্থ, অসহায় মানুষেরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকই কম্বল পেয়ে আবেগে বলে আমার খুব ভালো লাগছে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জুবায়ের হোসেন জানান , গত কয়েক দিন যাবৎ এই এলাকায় তীব্র শীত পড়েছে। শীতে ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষদের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। প্রকৃত ছিন্নমূল ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে রাতের অন্ধকারে বের হয়ে আজ ১০০টি শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে সাড়া উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
এ সময় মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।