টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের আলাদা দুটি গ্রাম থেকে গত ২৪ ঘন্টায় এক কিশোরী ও গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মধুপুর থনা পুলিশ।
প্রথমে রোববার ভোর রাত তিনটার দিকে সাদিয়া আফরিন স্বর্ণার (১৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত কিশোরী মহিষমারা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ দুপুরে স্বর্ণার লাশ মর্গে পাঠানোর কয়েক ঘন্টা পর শালিকা গ্রামের আনারস বাগানে ফুলবানু (৫৬) নামে আরেক নারীর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা মরদেহর সন্ধান পায় আনারস বাগানে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক। পরে পুলিশে খবর দিলে ২৭ অক্টোবর (রবিবার) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ফুলবানু একই গ্রামের আব্দুল বাছেদ বাচ্চুর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল বাছেদ বাচ্চুর স্ত্রী ফুলবানু গরুর ঘাস কাটতে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কি.মি. দূরের হাজী বাড়ির পিছনের আনারস বাগানে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা ফুলবানুর লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশে খবর দিলে মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) ফারহানা আফরোজ জেমির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অপরদিকে আলোকদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বাসু জানান,সাদিয়া আফরিন স্বর্ণা পারিবারিক কলহে বাড়ি ছাড়া হয়ে কালিয়াকৈরের এক গার্মেন্টেসে কাজ করতো। কয়েকদিন আগে সেখানে কীটনাশক পানে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
মির্জাপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে স্বর্ণা মহিষমারা এলাকায় নানীর বাড়িতে আসে। সেখানে শনিবার মধ্যরাতে কি কারণে তার মৃত্যু হয় জানাযায়নি। রাত তিনটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে (রবিবার) বেলা ১২ টার দিকে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির জানান, দুটি ঘটনার একটি ইউডি মামলা হয়েছে। অপরটির আইনী প্রক্রিয়া হচ্ছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক তথ্য বলা যাচ্ছে না।