লালমোহন প্রতিনিধি, ভোলা: লালমোহন হাসপাতালের স্যাকমো আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মহলটি চক্রান্ত করে হাসপাতালের নার্স ও স্টাফদের তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে এবং তাদের ভুল তথ্য দিয়ে ১৯ মে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করায়। এতে লালমোহন হাসাপাতালের দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আবুল হোসেন তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
স্যাকমো আবুল হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা নার্স ও স্টাফদের অভিযোগ অস্বীকার ও মিথ্যা দাবী করে জানান, আমি দীর্ঘ তের বছর সুনামের সহিত লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যাকমো পদে থেকে ইমার্জেন্সিতে ডিউটি করে রোগী সেবা করে আসছি। কখনো কোন অনিয়ম করিনি। প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ বদলি করতে পারেন। আমি তা মেনে চলি। হাসপাতালে আমরা দুই জন স্যাকমো ১৫ দিন করে ডিউটি করি। স্যাকমো হিসেবে আমি ইমার্জেন্সিতে ডিউটি করছি। করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি ডিউটি করছি। রোগী সেবা করছি।
স্যাকমো আবুল হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী বর্তমানে কর্তার হাট উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডিউটি করছে। লালমোহন হাসপাতালে আমার বাবা আঃ মালেক, আমার বোন হেলেনা ও আমার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা ডিউটি করেছে, রোগীর সেবা করেছে। আমিও করছি। আমার পুরো পরিবার এই হাসপাতালে রোগী সেবা করে সুনাম অর্জন করেছে। ওনারা আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন। কোন অনিয়ম কেউ দেখাতে পারেনি।
আবুলের প্রতি ক্ষিপ্ততার কারণ হিসেবে সে জানায়, বিভিন্ন সময় তারা অনিয়ম করে ধরা পড়ে এবং তা জানাজানি হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এসব বিষয়ে তারা আমাকে সন্দেহ করে। তাদের কানে কানে একটি মহল খোঁচ প্যাচ লাগিয়ে তাদের কানভারী করে। তারা এসব কারণে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করতে থাকে।
ওই মানববন্ধন থেকে নার্স ও স্টাফরা জানান, এক সময় হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে আবুল হোসেন ও তার স্ত্রীর রাজত্ব ছিল। তারা দুই জন বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া নার্সরা বিভিন্ন সময় আবুল হোসেনের কাছে হেনস্তার শিকার হয়েছে। এসব বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তাদের দুই জনকে অন্যত্র বদলি করে দেন। পরে আবুল নানাভাবে লবিং করে পূণরায় এখানে আসেন। হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তারা আবুল হোসেনকে আউট ডোরে ডিউটি দিতে অনুরোধ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আবুল হোসেন ইমার্জেন্সিতে ডিউটি করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা স্যাকমো আবুল হোসেনকে জরুরি বিভাগের ডিউটি থেকে সরিয়ে দিতে দাবী জানান।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন স্যাকমো। ১৫ দিন করে ডিউটি ভাগ করে দেয়া হয়েছে। আবুল হোসেন আমাকে ম্যানেজ করে ডিউটি করছে একথা সত্য নয়। যার যার ডিউটি সে সে করতে হবে। নার্সরা যেসব অভিযোগ করেছে, সেগুলো আগের ঘটনা। আমি চাই সকলে সুন্দরভাবে যার যার দায়িত্ব পালন করুক।
স্যাকমো আবুল হোসেন বলেন, নার্সদের ডিউটি ওপরে ওয়ার্ডে। আর আমার ডিউটি নীচে জরুরি বিভাগে। আমার কাছে ওনারা হেনস্তা হওয়ার কারণ নেই। আমি ওনাদের সাথে কোন বিরুদ্ধাচরণ করি না। আগে ভুল বুঝাবুঝি যেটুকু হয়েছে, স্যারেরা সমাধান দিয়েছেন। এরপরেও ওনারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। যাইহোক ওনারা ওনাদের দায়িত্ব পালন করবে। আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো। আগামী দিনগুলো যাতে সুন্দর হয়। স্যাকমো আবুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত