ভোলার লালমোহনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২ জনকে পিটিয়ে আহত

আব্দুর রহমান নোমান: লালমোহনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২জনকে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে মোস্তফা চৌকিদার বাড়িতে সোমবার বিকেলে (১২ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা চৌকিদার বাড়ির কামরুল মিয়ার সাথে ৩নং ওয়ার্ডের বাবুল পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা করে আসছে। বাবুল সুযোগ পেলেই কামরুল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করার চেষ্টা। বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। ঘটনার দিন কামরুল মিয়ার বাগানে থেকে বরই ও বেতফল ৩নং ওয়ার্ডের বাবুলদের বাড়ির পোলাপানসহ এলাকার বিভিন্ন পোলাপান এসে পেরে নিয়ে যায় এবং ঢিল মেরে নষ্ট করে। কামরুলের ছেলে জিহান (১১) তাদেরকে বরই ও বেতফল পারতে নিষেধ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও ঝগড়াঝাটি হয়। সেখান থেকে পোলাপান চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে বাবুল, আলাউদ্দিন, মিজান, আলমগির, টুনি, বকুল, আহাদ, জলিলসহ আরো কিছু লোকজন বোরাক ও অটোরিকশাযোগে এসে শেষ বিকেলে সন্ধ্যা মুহূর্তে কামরুলের ঘরের সামনে ভিড় করে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে।

কামরুলের মেয়ে এক সন্তানের জননী আকলিমা (২৫) কী জন্য এরকম করা হচ্ছে জানতে চাইলে বাবুলের নেতৃত্বে ও নির্দেশে বাবুল নিজেসহ তার সাথের লোকজন কামরুলের বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আকলিমাকে বেদম পিটিয়ে আহত করে এবং তার কাপড়চোপড় টেনেহিঁচড়ে শ্লীলতাহানি করে। হামলার সময় হামলাকারীরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আকলিমার ডাকচিৎকারে তার মা রুনা বেগমসহ আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। পরের দিন দুপুরে কামরুলের ছেলে জিহান বাড়ির পাশে গরুকে ঘাস খাওয়াতে গেলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা বাবুল ও তার সঙ্গীয় লোকজন জিহানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে বেদম মারপিট করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার ডাকচিৎকারে পাশের বাড়ির রহিমা ও জোছনা তাকে উদ্ধার করে নেয় এবং জোছনাদের ঘরে কাড়ে জিহানকে লুকিয়ে রাখে। সেখান থেকে আহত জিহানকে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

একই দিন সন্ধ্যায় কামরুলের আরেক ছেলে মাহিম রাজমিস্ত্রী কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে গজারিয়ায় পশ্চিম বাজারে স মিলের সামনে পথরোধ করে তার উপর আহাদ ও জলিলসহ কয়েকজনে হামলা করে। বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কামরুল ও পরিবার ন্যায় বিচার দাবি করেন।