বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে সিনেমা স্টাইলে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের চকডোষ গ্রামে ৭নং ওয়ার্ডে কুঞ্জেরহাট এলাকায় গত শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় মফিজ ম্যানেজারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীরা ৮ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের সফিজল দীর্ঘদিন ধরে মফিজ ম্যানেজারের বাড়ি-বাগান ও পুকুর দখল করার পায়তারা দিয়ে আসছে। জমির দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে মফিজ ম্যানেজার ও তার পরিবার পরিজনকে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করতে থাকে। একপর্যায়ে জমি দখল করার জন্য বোরহানউদ্দিন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাজল ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনার দিন ভোর ৬টার দিকে কয়েকটি মাইক্রোবাস ও হোন্ডাসহ সিনেমা স্টাইলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সফিজল শতাধিক ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এসে মফিজ ম্যানেজারের বাড়িতে অতর্কিত হামলা ও তাণ্ডবলীলা চালায়।
সেখানে তাদের হামলায় মফিজ ম্যানেজার, বাচ্চু, কহিনুর, মায়ানুর, তাসলিমা, শান্ত, মিতু আহত হয়েছে। আহতদের বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারীরা মহিলাদের টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে এবং তাদের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ও আহতদের সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাগান থেকে গাছগাছালি কেটে সেখানে একটি ছোট টিনের ঘর তোলে। মফিজ ম্যানেজারকে ফাঁসাতে রাতে ঘরটি সফিজল লোকজন নিয়ে ভেঙে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মফিজ ম্যানেজার বলেন, এ জমির মালিক ছিলেন নিবারন সাহা। ১৯৫৮ সনে জমি ১নং খতিয়ানে চলে যায়। ১৯৭৭-৭৮ সনে উক্ত জমি বন্দোবস্ত আনেন পরিমল চন্দ্র দে নামক ব্যক্তি। তিনি আমাদের কাছে বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। নিবারন সাহার পুত্র নিতাই ও স্ত্রী সরজ বালা খাসের বিরুদ্ধে সরকার ও বন্দবস্তীয় মালিককে বিবাদী করে সহকারী জজ কোর্টে মামলা করেন। যা নং ১৯৭/২৯৬৭ ও ২৮৩/১৯৯৮। উক্ত মামলায় তারা হেরে যান। বন্দোবস্তীয় মালিক বহাল থাকেন। জমির মালিকানা না থাকার পরেও শুধুমাত্র খতিয়ানে নিতাইর বাবা নিবারনের নাম থাকার কারণে নিতাই থেকে দলিল নিয়ে তাজল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সফিজল ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এসে আমাদের মারধর করে জমি দখলের চেষ্টা করে। সফিজলের সাথে কয়েকবার বসাবসি হয়েছে। কিন্তু এ জমিতে তার দলিল দাতার কোনো মালিকানা না থাকায় তার মালিকানা নেই। ২০০৩ সালে কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এক সালিশ বৈঠকে সফিজল নাদাবি দিয়ে যায়। জমির হাল জরিপে আমাদের নামে রেকর্ড হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাউন্সিলর তাজল ইসলামের বলে বলীয়ান হয়ে সফিজল আমাদের মারপিট করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে। আমরা ভুক্তভোগী ও নির্যাতিত পরিবার ভোলা-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল মহোদয় ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করি।
তবে এ ঘটনার সাথে বোরহানউদ্দিন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর তাজল ইসলাম সম্পৃক্ত নন বলে জানিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত