ভোলায় মাদক সম্রাট এফজাল সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

ভোলা জেলা প্রতিনিধি
ভোলায় স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগের সময়কার অন্যতম মাদক সম্রাট এবং সদর উপজেলা ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার এর স্বামী এফজাল হোসেন সোহেলকে আটক করেছে কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোন।

এছাড়াও ওই ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল অদুদ সেলিম হাওলাদারকে একটি বৈধ অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

সোহেল ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে। তার প্রথম স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম ২০২২ সালে ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত নারী আসন থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।

হোসনেয়ারা বেগম ব্যতীত তার আরও স্ত্রী রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রীর নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা চালাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যান তিনি। তখন আরেক ডিভোর্সি নারীকে পছন্দ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকমাস পর কৌশলে ওই স্ত্রীকে তালাক দিতে গিয়ে ফেঁসে যান তিনি। এরপর আর তাকে তালাক দিতে পারেননি। বর্তমানে ওই স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। তাকে নিয়ে শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। এদিকে তার প্রথম স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে সম্প্রতি তিনি ডিভোর্স দিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহেল ইয়াবার ব্যবসা ও সেবন করে আসছে। তার কারণে এলাকার যুবসমাজ আজ ধ্বংসের মুখে। তার এক নিকটাত্মীয় জানান, তিনি সবসময় মাদক সেবন করে তাল-মাতাল থাকেন। কখন কাকে কী বলেন, তা নিজেও জানেন না। তার প্রথম স্ত্রীকে যখন তিনি তালাক দিয়েছিলেন, তখন তিনি মাতাল ছিলেন। নেশা করে তাল-মাতাল থাকা অবস্থায় তিনি হোসনেয়ারাকে তালাক দিয়েছিলেন।

এফজাল সোহেল ও সেলিম হাওলাদারের আটকের বিষয়ে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে সেলিম হাওলাদারকে একটি পিস্তলের লাইসেন্স দেয়া হয়। সরকার পতনের আগে ও পরে তিনি সেই পিস্তল দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে।

এছাড়াও এলাকায় জমি দখল, দোকানঘর দখল এবং চাঁদাবাজিসহ তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেলিম হাওলাদারের ছেলে শামীম ওরফে বোমা শামীম এলাকায় একাধিক নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছে। বৈধ অস্ত্র দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করার কারনে কোষ্টগার্ড তাদেরকে আটক করে।

এছাড়াও এফজাল হোসেন সোহেল এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। এসবের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কোষ্টগার্ড তাদেরকে আটক করে।