প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ৩১, ২০২৫, ৩:৩৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ২৯, ২০২৫, ৪:৩৯ পি.এম
ভোলায় আবারও বাস মালিক ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ রণক্ষেত্র, ৩ সিএনজিতে আগুন
এম এ আশরাফ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভোলা বাস টারমিনালে আবারও বাস মালিক ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩টি সিএনজি আগুনে পুড়ে গেছে এবং আরও ৩টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হয়। এদিকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
এ ঘটনায় বাস মালিক সমিতি বুধবার সকালেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়, যার ফলে ভোলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত রাতে সংঘর্ষের পর থেকেই বাস ডিপোতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদে এ ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটের ফলে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। কিছু যাত্রী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসে গন্তব্যে পৌঁছালেও তাদেরকে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ধর্মঘটের কারণে বিশেষ করে লালমোহন, চরফ্যাসন, মনপুরা ও তজুমদ্দিনের যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। সেক্ষেত্রে কম দূরত্বের যাত্রীরা অটোরিকশা ব্যবহার করলেও দীর্ঘ দূরত্বে যাতায়াতকারী যাত্রীরা সুষ্ঠু পরিবহন সুবিধা না পাওয়ার কারণে কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন।
বুধবার সকালে ভোলার বাস টারমিনালে আসা যাত্রীরা বাস ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন। পুলিশ ও নৌবাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে, তবে বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীদের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে।
এদিকে বাস মালিকরা জানিয়েছেন, সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গত রাতের সংঘর্ষে ২টি বাস ও ৫টি সিএনজি পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ এবং নৌবাহিনী সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলেও বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়ছে। ভোলার অভ্যন্তরীণ রুটে প্রতিদিন ৮০টি বাস চলাচল করত, তবে বর্তমানে সকল বাস চলাচল বন্ধ থাকায় পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত