ভোজ্যতেল উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ

19

ভোজ্যতেলে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন আদেশ অনুসারে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলে মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হয়েছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) এনবিআর থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেনও গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুরে আমদানি পর্যায়ে তেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট কমানোর জন্য এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপ করা মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে কার্যকর হওয়া ওই আদেশ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিন, পাম এবং পামওলিন তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আগাম কর (এটি), উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বিক্রয় ও সরবরাহ পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে।

এর মধ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বিক্রয় ও সরবরাহ পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট মওকুফ বা প্রত্যাহার হলো। এর আগে ২০২১ সালে ১৯ এপ্রিল সয়াবিন তেল ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।

যদিও ব্যবসায়ীদের প্রধান দাবি ছিল আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা।

গত ১০ মার্চ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

এর আগে গত ১ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরে এ বিষয়ে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে সয়াবিন ও পাম অয়েলকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে বর্তমানে আরোপিত উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ বা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট হতে শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতির পরামর্শ দেওয়া হয়।

কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা, দুই লিটার ২৩৫-৩৪৫ টাকা ও পাঁচ লিটার ৭৯৫-৮০০ টাকা বিক্রি কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।