জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভের প্রধান কারণ হল, ভারত আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না।'
তবে তিনি এটিও বলেন, 'এটাও পুরোপুরি সত্য নয়।' একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় তিনি এসব বলেন।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২৮ আগস্ট ভারত সেই সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এছাড়া, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর ভারতে গিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন মোরারজী দেশাইয়ের সঙ্গে। এরশাদের আমলে বাংলাদেশের সাথে ভারত ও আরবের একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।'
তিনি উল্লেখ করেন, 'গত তিনটি নির্বাচনের সময় ভারত নিশ্চুপ ছিল, ফলে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই রাগ-ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, এটা যৌক্তিক। তারা আশা করেছিল যে, ভারত সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করবে।'
শামীম হায়দার পাটোয়ারী ভিসা সমস্যার কারণে সৃষ্ট সংকটের বিষয়ে বলেন, 'বাংলাদেশ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর ৩০ লাখ বাংলাদেশি ভারতে ভ্রমণ করতেন, যা উভয় দেশের জন্য লাভজনক ছিল। বর্তমানে ত্রিপুরা ও কলকাতা দূতাবাস বন্ধ এবং দিল্লির দূতাবাস প্রায় বন্ধ। কোনো বর্ডার দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'পাকিস্তান বা চীনে গিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ভারতে গিয়ে মানুষ কম খরচে চিকিৎসা ও ভ্রমণের সুযোগ পায়। ভিসা ও বাণিজ্য বন্ধ থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সরে যেতে পারেন।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কখনোই সম্মুখ যুদ্ধ হবে না। কেউই তা করবে না। তবে ভিসা বন্ধ থাকলে এবং বাণিজ্য স্থবির হলে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। যদিও চীনা বিনিয়োগ হতে পারে, তবে তাতে ভারত ও আমেরিকা একজোট হয়ে যেতে পারে।'
শামীম হায়দার পাটোয়ারী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ এবং স্থিতিশীল কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত