ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেয়া যাবে না। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন কোভিডবিধি মেনে চলা। সরকারের একাধিক নির্দেশিকা এবং তা বাস্তবায়ন সত্ত্বেও দেশে ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন বাড়ল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। লাফিয়ে বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেস রীতিমতো ভয় ধরানোর মতো।
শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের পরিমাণ বেড়ে ৩ কোটি ৬৭ লাখের গণ্ডি টপকে গেল। এর মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৬ হাজার ৪১। সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলেছে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক। সংক্রমণ রুখতে মেলা, উৎসব ইত্যাদি স্থগিত করার পথে হেঁটেছে একাধিক রাজ্য। তবে সংক্রমণ যেন কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না।
এদিকে এ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০২ জন। এখনো পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫২ জন। অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১৪ লাখ ১৭ হাজার ৮২০ জন। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮৪ জন।
সংক্রমণের ভয়ে আবার বাড়ছে অযথা ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা। যা হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা। তাই বারবার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে উপসর্গ না থাকলে করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। সেই সাথে অকারণ আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত ওষুধও খাওয়া উচিত নয়। টিকা ও তার বুস্টার ডোজই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত দেশে ১৫৬ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে গতকালই ৫৮ লাখ টিকার ডোজ পেয়েছেন দেশবাসী। টিকাকরণের পাশাপাশি জোর দেয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল যেমন ১৬ লাখেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত