রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ডিবি জানায়, শুক্রবার রাতে ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়ার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও জনবল দাতা হচ্ছে মনসুর আলম এবং বিএনপি’র পক্ষে আশ্রয় ও অর্থদাতা নবী উল্লা নবী।
বাসস জানায়, গ্রেফতারকৃত অপর যুবদল নেতারা হচ্ছে- মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, মো. রাসেল, দেলোয়ার হাকিম বিপ্লব, মো. সালাউদ্দিন, মো. কবির ও মো. হাসান আহমেদ। তারা প্রত্যক্ষভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন দেয়ার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা করেন। তারা প্রথমে ঢাকা-নরসিংদী ও ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেনে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করেন। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তারা রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা। আমরা গ্রেফতারকৃত কয়েকজনের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও ভিডিও কনফারেন্স করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। এই আগুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছি।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে নবী উল্লাহ নবীকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে পুড়ে চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৫ মিনিটে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ করে রাত ১০ টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত