এস এম সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট: সরকারি হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাদাত মো. মফিদুল ইসলাম। বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে বিসিএস কর্মকর্তা থেকে ঝাড়ুদার পর্যন্ত সকলে মিলে পরিচ্ছন্ন রাখছেন হাসপাতাল ও আশে পাশের এলাকা। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রোগী ও সুশিল সমাজ।
গত মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী, কর্মকর্তা ও চিকিৎসকগণ হাতপাতালের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থান পরিষ্কার করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ও অফিসারদের নিয়ে পরিচ্ছন্নতা কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এসময় কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে আগের দিনের ময়লা আবর্জনার স্তুপ অপসরণ দেখা যায়।
জানা গেছে, সেবার মান ভালো হওয়ায় ফকিরহাটসহ আশে পাশের উপজেলা থেকে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন এই হাসপাতালে। অতিরিক্ত রোগী ও তাদের সাথে আসা লোকজনের ফেলা ময়লা আবর্জনা অপসারণে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতালের ৩জন ঝাড়ুদারকে। ফলে নোংরা পরিবেশ থেকে হাসপাতালকে রক্ষা করতে সকলে মিলে পরিস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসা নিতে আসা আকলিমা খাতুন, নয়ন শেখ, আরতী রানী কুণ্ডু, ঝুমা দাশসহ কয়েক জন রোগীর সাথে কথা হয়। তারা জানান, হাসপাতালের বর্তমান পরিস্কার পরিবেশ দেখে তাদের খুবই ভালো লাগছে। ইনডোর, আউট ডোর ও আশে পাশের আবর্জনা নিয়মিত অপসরনের ফলে মশা মাছির উপদ্রব কমে গেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১২টি পদের মধ্যে ৪৫টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদের মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শূণ্য পদ বেশি।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাদাত মো. মফিদুল ইসলাম জানান, সেবার মান ঠিক রাখতে এবং রোগীদের স্বার্থকে অগ্রাধীকার দিতে আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। আমরা অভ্যন্তরীণ মিটিং করে এ উদ্যোগ নিয়েছি। ডাক্তার থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পর্যন্ত সবাই মিলে হাসপাতালকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করছি।