টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
প্রেমিকের বাড়িতে দুদিন ধরে বিয়ের দাবিতে অনশন করছে এক কিশোরী প্রেমিকা। পরে প্রেমিকের চাচার মীমাংসার আশ্বাসে অনশন ভাঙ্গেন প্রেমিক এবং জিম্মায় নেন ওই কিশোরীকে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত মীমাংসার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখতে না পেয়ে এলাকাবাসী কিশোরীর বাড়ির সামনে ওই প্রেমিককে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
ওই প্রেমিকের নাম আনোয়ার হোসেন রানা (৩১)। রানা টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের গাছাবাড়ি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে আনোয়ার হোসেন রানাকে স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছেন। এরপর থেকে পাশের বাড়ির ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া দূর সম্পর্কের এক ভাতিজির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রানা বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরী গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রানার বাড়িতে গিয়ে ওঠে।
গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) মেয়েটি বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিক রানার বাড়িতে অবস্থান নেন। এরপর রানার চাচা আব্দুল বারেক মেয়েটিকে মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তার জিম্মায় নেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত তার কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান না হওয়ায় গরুর বহর নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আটক করে রানাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীর বাড়ির সামনে গরুর রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন এলাকাবাসী। এলাকার শত শত লোক এ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমায়।
বাঁধা অবস্থায় রানা জানান, এই কিশোরীর বাড়িতে আসা-যাওয়ার অভিযোগে তার স্ত্রী তাকে সন্দেহ করতেন। এ কারণে ৯ মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।
প্রেমিকের চাচা আব্দুল বারেক বলেন, আমি সালিশের কথা বলে মেয়েকে বুঝিয়ে আমার জিম্মায় আমার বাড়িতে রেখেছিলাম। আজকে সমাধানের কথায় দু'পক্ষ বসেন। একপর্যায়ে মেয়ের পক্ষের লোক বলে মেয়েকে হাজির করেন। পরে মেয়ের বয়স হয়নি এ কথা বলে তারা মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। চলে গিয়ে ছেলেকে রাস্তায় পেয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন।
মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত