বিদেশ যেতে খালেদা জিয়ার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি: আইনমন্ত্রী

17

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে করা আবেদন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত ১১টার দিকে আমাদের মন্ত্রণালয়ের সচিবের হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আবেদনটি পৌঁছেছে। আইনি দিক বিশ্লেষণ করে এবং মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে আমরা খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব আশা করছি।’

এর আগে গতকাল রাতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আবেদন করা হয়। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এই আবেদন করেন। ওই আবেদনপত্র পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নিজ বাসভবনে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকেরা অভিমত দিয়েছেন যে, তাঁকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। আমরা যদিও চিকিৎসকদের কাছে শুনিনি। প্রধানমন্ত্রী এসব ব্যাপারে অত্যন্ত উদার। আমরা পজিটিভলি এই ব্যাপার দেখব। আগামীকালের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ এবং সরকারের অনুমতির ওপর।’

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত সোমবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো তিনি সেখানেই আছেন।