বিএনপির এক গ্রুপের ওপর আরেক গ্রুপের হামলা, ৪ নেতাকর্মী আহত

খুলনা ব্যুরো:

খুলনা রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা কাউন্সিলরের মোড়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী হামলায় ৪ বিএনপি কর্মী আহত হয়েছে। ৫০ থেকে ৬০ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ হামলা করে। আহতরা হলেন মুসা সরদার, ইয়াছিন সরদার, ফেরদৌস শামীম ও আসলাম।

জানা গেছে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রোগ্রাম শেষ করে বাড়ি ফিরে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা শ্রীফলতলা জাবেদের দোকানে সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমন সময় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে দুর্বৃত্তরা। আহতদের প্রথমে সদর হাসপাতাল পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সর্বশেষ খুলনার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে মুসা সরদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। অপর দিকে ইয়াসিন সরদার নামে এক ব্যক্তিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে মাথায় গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহত মুসা সরদার বলেন, আমরা বিএনপির প্রোগ্রাম শেষে বাড়ির সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় সাবেক জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বাপ্পি ভাইয়ের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল রামদা, হকিস্টিক নিয়ে ইয়াসিন সরদারের উপর হামলা করে। তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের উপর অতর্কিত ভাবে কোপ ও লাঠি দিয়ে পিটাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিএনপির সাবেক নেতা বাপ্পি ভাই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হামলার নেতৃত্ব দেন। আমরা হেলাল ভাইয়ের রাজনীতি করি, হেলাল ভাই-এর নেতৃত্বে চলি। সুতরাং আমরা চাই হেলাল ভাই এর সুষ্ঠু বিচার করবেন।

ইয়সিন সরদার বলেন, আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের নেতৃত্বে প্রথমে আমার উপর হামলা করে। আমাকে বাঁচাতে গেলে মুসা সরদার, ফেরদৌস, শামীমসহ চার পাঁচ জনের উপর আক্রমণ করে তারা। এ সময় আমরা যে দোকানে বসেছিলাম সেই জাবেদের দোকানের উপরও হামলা করে তার দোকান ভাঙচুর করে। আমরা বিএনপি’র বকুল ভাই হেলাল ভাইসহ নেতাদের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

সাবেক বিএনপি নেতা বাবুল শেখ বলেন, আমরা এ জাতীয় ঘৃণ্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি যাচাই বাছাই করেই কমিটি দিয়েছেন। সুতরাং বিএনপির এই কমিটির প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এ জাতীয় হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

দোকানদার জাবেদ বলেন, আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৪০-৫০ জনের একটি দল এসে বিএনপির নেতাকর্মীর উপর হামলা করে। তারা যখন আমার দোকানে আশ্রয় নেয় তখন আমার দোকানেও ভাঙচুর করে। এখনো আমার দোকানের মধ্যে রক্ত লেগে আছে।

এ বিষয়ে জানতে বিএনপির সাবেক নেতা বাপ্পির মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।