বাবরি মসজিদের রায় ও ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ

22

প্রথম মুঘল সম্রাট জহির উদ্দিন শাহ্ বাবরের শাসনামলে ১৫২৮ সালে বর্তমান ফৈজাবাদ জেলার অন্তর্গত অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। বাবরের সেনাপতি মীর বাকি বানিয়েছিলেন এই মসজিদ। মসজিদ নির্মাণের সময় অথবা অব্যবহিত পরে এ সম্পর্কে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছিল না। বরং সম্রাট বাবরের শাসনের অসাম্প্রদায়িক নীতি, ধর্ম নির্বিশেষে সব ঐতিহাসিক কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে।

কিন্তু মুঘল সম্রাটদের উদারতা সত্ত্বেও বারবার এই স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। অযোধ্যাকে রামের জন্মভূমি হিসেবে চিহ্নিত করে মসজিদ ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিহাসে পাওয়া যায় হুমায়ুনের আমলে দশ বার ও আকবরের আমলে কুড়ি বার হামলা চালানো হয়েছে।সম্রাট আকবর ছিলেন ধর্মীয় ব্যাপারে অত্যন্ত উদার। তিনি একটি সমঝোতায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলেন।

মহাকাব্যে বর্ণিত রামজন্মভূমিতে বাবরি মসজিদ তৈরি হওয়ার পর প্রায় সাড়ে তিনশ’ বছর টানাপড়েন তেমন ছিল না। মুঘল আমল শেষে ভারতে ব্রিটিশ রাজ প্রতিষ্ঠা পেতেই আইনি লড়াই শুরু হয়।

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলা চল্লিশ দিন টানা শুনানির পর রায় স্থগিত রেখেছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। গত ৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৯ নভেম্বর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা করবেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।

যথারীতি রায় ঘোষণা হয়ে গেলে। ভারতের অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে একটি ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সাথে মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমানদের জন্য আলাদা জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই রায়ে আদালতের যে মন্তব্য ছিল
ক. ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় হল সর্বসম্মত। রায় নিয়ে পাঁচ জন বিচারপতি সহমত হয়েছেন।
খ. রায়ে বলা হয়েছে- বাবরি মসজিদ কোনো খালি জমির উপর নির্মিত হয়নি। ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, পুরাতত্ত্ব বিভাগ তাদের যে রিপোর্টে জানিয়েছিল, ওই বিতর্কিত জমিতে তার আগে একটি কাঠামো ছিল। যা সম্ভবত দ্বাদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। তবে মন্দিরই ছিল কিনা তা পুরাতত্ত্ব বিভাগ স্পষ্ট করে জানায়নি। তা ছাড়া ‘ওই কাঠামোটি ভেঙেই মসজিদ তৈরী হয়েছিল কি না’, সেই প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

রিপোর্টটিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ‘টাইম গ্যাপ’ রয়েছে বলেও আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়।আদালত বলেছে, মাটির নীচে থাকা পুরনো কাঠামোটি যদি দ্বাদশ শতাব্দীর হয়, তাহলে ষোড়শ শতাব্দীতে মসজিদ তৈরির সময়ের সঙ্গে চারশো বছরের একটা ফারাক থাকছে। ওই চারশো বছরে কী হয়েছিল, তা জানা যায় না রিপোর্ট থেকে।

গ. আপাতত জমির মালিকানা যাবে সরকারের হাতে। সরকার তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করবে।

ঘ. অযোধ্যায় মসজিদের দাবি কেউ কখনও ছেড়ে দেয়নি। ৯২ সালে মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তার পর নমাজ পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু মসজিদের দাবি ছেড়ে দেওয়া হয়নি।

ঙ. বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে বলেছে, রাম লালা বিরাজমান কোনো আইনি ব্যক্তি নন। নির্মোহী আখড়াও তাই জমির মালিকানা দাবি করতে পারে না। তারা কেবল রক্ষণাবেক্ষণ করত।

চ. বিতর্কিত জমির ভেতরের চত্বর ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে তুলে দিতে হবে। ওই ট্রাস্টি বোর্ডই ঠিক করবে তারা সেখানে কী নির্মাণ করবে।

ছ. রাম মন্দির ন্যাস কমিটির ভূমিকাকেও গুরুত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জমির মালিকানা নিয়ে নির্মোহী আখাড়ার দাবি খারিজ করলেও তাদেরকে সুপ্রিম কোর্ট প্রস্তাবিত ট্রাস্টের সদস্য করতে হবে।

জ. রায়ে বলা হয়- মুসলমানদের কোনোভাবে বঞ্চিত করা উচিত হবে না। মসজিদ নির্মাণের জন্য বিতর্কিত স্থান থেকে দূরে কিন্তু অযোধ্যাতেই পাঁচ একর জমি দিতে হবে সরকারকে। যাতে একটি ভব্য মসজিদ সেখানে গড়ে তোলা যায়।ঝ. বিতর্কিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে হবে ভারত সরকারকে।

উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের হিলের ওপর অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ বাবরি মসজিদটি ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রথম মোঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশ মেনে মীর ‘বাকী’ গড়ে তোলেন পরে যার নামকরণ সম্রাট বাবরের নামে করা হয়।

বাবরি মসজিদ তার সংরক্ষিত স্থাপত্য ও স্বতন্ত্র গঠনশৈলীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মসজিদটি সম্রাট আকবর দ্বারা গৃহীত ইন্দো-ইসলামী গঠনশৈলীর প্রতীক ছিল।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি রাজনৈতিক সমাবেশের উদ্যোক্তারা, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু করে যা ১৫০,০০০ জন সম্মিলিত একটি বিশৃঙ্খলার রূপ নেয় এবং বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পরবর্তী সময়ে দাঙ্গায় অন্তত ২ হাজার জনের মৃত্যু হয়। এবং ভারতের ইতিহাসে এত বড় দাঙ্গা আর কখনও হয়নি। সেই বিতর্ক এতদিন হল সমানে চলছে। এখনও কোন ঐতিহাসিক বলেননি ওখানে মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছে। সব কল্পনার উপর ভর করে বিতর্ক এগিয়েই চলেছে।

বিবিসি এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী একনজরে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই বিতর্ক শুরু হলো ও সময়ের সরণী ধরে কোথায় এসে ঠেকেছে।

১৫২৮ সাল
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করান মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মির বাকি। তিনিই সম্রাট বাবরের নামে ‘বাবরি মসজিদ’ এর নামকরণ করেন। এর দুই বছর আগে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবর।

১৮৫৩
আওয়াধের নবাব ওয়াজিদ আলি শাহর সময়ে প্রথমবার এই জায়গায় হিংসা ছড়ায়। হিন্দুদের একটা অংশ নির্মোহীরা দাবি করে সম্রাট বাবরের সময়ে এখানে থাকা হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ তৈরি করা হয়। এ দাবি ওঠে মসজিদ তৈরির প্রায় ২৩০ বছর পর।

১৮৫৯
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের কারণে ওই জায়গাকে দুটি ভাগে ভাগ করে দেয়। একটি জায়গা মুসলমানদের জন্য, ও অন্যটি হিন্দুদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।

১৮৮৫
১৮৮৫ সালে মহন্ত রঘুবীর দাস প্রথম মামলা করেন। আবেদনে মসজিদের বাইরে একটি শামিয়ানা খাটানো ও মঞ্চ তৈরির কথা বলেন। যদিও সেই আবেদন ফৈজাবাদ জেলা আদালত খারিজ করে দেয়।

১৯৪৯
মসজিদের ভেতর ইশ্বর রামের মূর্তি দেখা যায়। হিন্দুদের বিরুদ্ধে মূর্তিগুলো রাখার অভিযোগ ওঠে। মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায় এবং দুই পক্ষই দেওয়ানি মামলা করে। সরকার ঐ চত্বরকে বিতর্কিত জায়গা বলে ঘোষণা দেয় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়।

১৯৮৪
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতৃত্বে ইশ্বর রামের জন্মস্থান উদ্ধার এবং তার সম্মানের একটি মন্দির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে হিন্দুরা। তৎকালীন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি (পরবর্তীতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ঐ প্রচারণরা নেতৃত্ব নেন।

১৯৮৬
জেলার বিচারক আদেশ দেন যেন বিতর্কিত মসজিদের দরজা উন্মুক্ত করে দিয়ে হিন্দুদের সেখানে উপাসনার সুযোগ দেয়া হয়। মুসলিমরা এর প্রতিবাদে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি গঠন করে।

১৯৮৯
বিতর্কিত মসজিদ সংলগ্ন জায়গায় রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপান করে নতুন প্রচারণা শুরু করে ভিএইচপি।

১৯৯০
ভিএইচপি স্বেচ্ছ্বাসেবকরা মসজিদ ধ্বংসের চেষ্টা করে। সেইসময়ে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে লালকৃষ্ণ আদবানি গুজরাতের সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত বিতর্কিত রথযাত্রা করে রাম মন্দিরের গুরুত্ব বোঝানোর অপচেষ্টা করেন।

১৯৯১
কেন্দ্রে বিজেপি মূল বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠে। এমনকি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায়ও আসে। করসেবক ও স্বেচ্ছ্বাসেবকরা মিলে মন্দির মুভমেন্টকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান।

১৯৯২
বিতর্কিত বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে দেয় করসেবকরা। এতে সমর্থন ছিল শিবসেনা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দাঙ্গা বাধে। এতে ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাওয়ের সরকার বিচারপতি এমএস লিবারহানের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করে অনুসন্ধানের জন্য।

২০০১
মসজিদ ধ্বংসের দশ বছর পূর্তিতে ফের একবার আতঙ্কের পরিবেশ গড়ে ওঠে চারিদিকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ফের দাবি করে অযোধ্যায় ওই জমিতে রাম মন্দির তারা গড়বেই।

২০০২
২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাতের গোধরায় অযোধ্যার করসেবক বোঝাই ট্রেনে হামলার ঘটনায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর হওয়া দাঙ্গায় ১ হাজার জন খুন হন বলে দাবি করা হয়। এরপর এই বছরই হাইকোর্টের তরফে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে পরীক্ষা করতে বলা হয় মসজিদের নিচে আদৌও কোনও মন্দির রয়েছে কিনা।

২০০৩
আগস্ট মাসে এএসআই রিপোর্টে জানায়, মসজিদের নিচে রাম মন্দির থাকার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে মুসলিম ল’ বোর্ড।

নভেম্বর ২০০৪
উত্তর প্রদেশের একটি আদালত রায় দেয় যে মসজিদ ধ্বংস করার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় আদভানিকে রেহাই দিয়ে আদালতের জারি করা পূর্ববর্তী আদেশ পুনর্যাচাই করা উচিত।

জুলাই ২০০৫
সন্দেহভাজন ইসলামি জঙ্গীরা বিস্ফোরক ভর্তি একটি জিপ দিয়ে বিতর্কিত স্থানটিতে হামলা চালিয়ে সেখানকার চত্বরের দেয়ালে গর্ত তৈরি করে। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী’র হাতে নিহত হয় ছয়জন, যাদের মধ্যে পাঁচজনই জঙ্গি বলে দাবি করে নিরাপত্তা রক্ষীরা।

জুন ২০০৯
মসজিদ ধ্বংস হওয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে থাকা লিবারহান কমিশন তদন্ত শুরু করার ১৭ বছর পর তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

নভেম্বর ২০০৯
প্রকাশিত লিবারহান কমিশনের প্রতিবেদনে মসজিদ ধ্বংসের পেছনে বিজেপি’র শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয় এবং এনিয়ে সংসদে হট্টগোল হয়।

২০১০
এলাহাবাদ হাইকোর্ট ঝুলতে থাকা বিতর্কিত এই মামলায় রায়দান করে। বলা হয়, এই জমিকে তিনটি ভাগে ভাগ করতে হবে। একটি অংশ পাবে হিন্দু মহাসভা, একটি অংশ পাবে মুসলমি ওয়াকফ বোর্ড ও তৃতীয় অংশ যাবে নির্মোহী আখাড়ার কাছে।এই রায়ের বিরুদ্ধে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে। এরপরে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।

মে ২০১১
২০১০ সালের রায়ের বিরুদ্ধে হিন্দু ও মুসলিম দুই পক্ষই আপিল করায় হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট

২১ মার্চ ২০১৭
ভারতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর বলেন, আদালতের বাইরেই মীমাংসা করে নেওয়া হোক বাবরি মসজিদ বিতর্কের।

আগস্ট ২০১৭
বাবরি মসজিদ মামলার শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট।

২০ নভেম্বর, ২০১৭
উত্তরপ্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ বোর্ড জানায়, সেখানে মন্দির বানালে আপত্তি নেই। পরিবর্তে লখনৌতে মসজিদ বানিয়ে দেওয়া হোক।

৫ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশােক ভুষণ এক বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চে আবার নতুন করে শুরু বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি।

২৯ অক্টোবর ২০১৮
নতুন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে আবার নতুন করে তিন বিচরপতির বেঞ্চ গঠন হয়।

৯ নভেম্বর ২০১৯
ভারতের অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে, বিকল্প জায়গায় নির্মিত হবে মসজিদ। এজন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার মধ্যেই বিকল্প ৫ একর জমি দিতে হবে।অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমি রামলালার।দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যেই দিয়েই অবসান হয় বাবরি মসজিদ বিতর্ক।

ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের কণ্টকিত ইতিহাসে বাবরি মসজিদে হামলা একটি ‘কলঙ্কিত অধ্যায়’৷ গুটি কয়েক হিন্দু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দিনটিকে সূর্য দিবস বলে আখ্যায়িত করলেও বেশিরভাগ ভারতীয় দিনটিকে ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেন৷