বাগেরহাটের শরণখোলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা শামীম আরা বাদল

25

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির: বাগেরহাটের শরণখোলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন শামিম আরা বাদল। আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।“

শেখ হাসিনা বারতা নারী-পুরুষ সমতা” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বাগেরহাটের শরণখোলায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন, আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ আঃ হাই, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল দাস, শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উষান আরা বাদলের মা শামিম আরা বাদল, হালিমা খাতুন।

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪জন সফল নারীকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ জয়ীতার পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের সহধর্মিনী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাগেরহাট ৪ আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের শাশুড়ি শামীম আরা বাদল। শ্রেষ্ঠ জননী কোঠায় উপজেলা সদরের আর,কে,ডি,এস পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মিসেস হালিমা খাতুন। সমাজ সেবক কোঠায় বারবার নির্বাচিত রায়েন্দা ইউপির ,সংরক্ষিত আসনের সদস্যা আকলিমা বেগম। নারী উদ্যোক্তা কোঠায় মিসেস ফয়জুন্নেছা বেলী। তিনি বাগেরহাট জেলায়ও শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরষ্কার পেয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার এ্যসোসিয়েশনের নির্বাচিত প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিয়ান এ্যাসেেিয়শনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়িতা শামিম আরা বাদল বলেন, আমার হাতের মেহেদী শুকায়নি তখন আমি বিধবা হয়েছি। তখন মানীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে শান্তনা দিয়ে বলেছিলেন, আগে পড়াশুনা শেষ কর তারপর চাকরি করবে। তখন আমি বলেছিলাম আগে আমার চাকরি দরকার তারপর সুযোগ পেলে পড়াশুনা করব। চাকরি করেছি পাশাপাশি পড়াশুনাও করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাবল মাস্টার্স করেছি। এ কারনে আমার একমাত্র কণ্যা উষান আরা বাদলকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছি। যার সুফল হিসেবে উষান আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেয়ের আলোতে আমি আজ আলোকিত হয়েছি। আমার স্বামী বেচে থাকলে আরো ভালো লাগত। পরিশ্রম মানুষকে আলোকিত হওয়ার পথ তৈরি করে দেয়। একজন পুরুষ যদি একটি সংসার চালাতে পারে, আমি কেন আমার সন্তানকে মানুষ করতে পারব না? এজন্য পরিশ্রম করতে হবে। আমার পরিশ্রমের সুফল শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরষ্কার। আমাকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরষ্কার দেয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।