বাঁধন বিএম কলেজ ইউনিটের নতুন কমিটির সভাপতি নাঈম বিন সুলতান, সম্পাদক জোবায়ের

 

এম এ আশরাফ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের সরকারি ব্রজমোহন কলেজ (বিএম) ইউনিটের নতুন সভাপতি হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগ ও ডিগ্রি হলের শিক্ষার্থী নাঈম বিন সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মোঃ জোবায়ের।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সরকারি ব্রজমোহন কলেজ (পরিক্ষা ভবনে) প্রাঙ্গণে বাঁধনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর-২০২৫ অনুষ্ঠানে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি ফারজানা, সহ-সভাপতি মোঃ অনিক মোল্লা, সহ সাধারন সম্পাদক শ্রাবন কুমার দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাইমুন আমিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সাজিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক নওশাদ ইসলাম রিফাত, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, তথ্য ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মারিয়া মুমু ও নির্বাহী সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ রাকিবুল হাসান, আবদুল্লাহ আল সাকিব, সাবিহাতুন নেসা খুসবু, আবদুল্লাহ আল আবির। এছাড়া বাঁধন থেকে জোনাল প্রতিনিধী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মোঃ আল-মাহামুদ।

এসময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদানসহ ৫০ জন সদস্যেকে রক্তদাতা সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং বিদায়ী কমিটির বিদায়ী সংবর্ধনা ও নতুন কমিটিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

আল মাহমুদ এর সভাপতিত্বে বাঁধন সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ইউনিট এর ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মোঃ তাজুল ইসলাম।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর মোঃ ওমর ফারুক (বিভাগীয় প্রধান গণিত), প্রফেসর মোঃ জসিম উদ্দিন (বিভাগীয় প্রধান রসায়ন), প্রফেসর মোঃ গোলাম মোর্শেদ (বিভাগীয় প্রধান ইতিহাস), মোঃ শাকিল আহমেদ সাধারণ সম্পাদক বাঁধন,কেন্দ্রীয় পরিষদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ এর অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, বাঁধন বরিশাল জোনের অন্যান্য ইউনিটের সদস্যসহ বাঁধন সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ইউনিটের উপদেষ্টাসহ রক্তদাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ।

এসময় বক্তারা বলেন, বাঁধনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করে কোনো বিশৃঙ্খলা ও অনৈতিক কাজে বাঁধন এর শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় না। বাঁধন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল থেকে যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে দেশের জেলা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জোন, ইউনিট ও পরিবারের মাধ্যমে বাঁধন স্বেচ্ছাসেবী এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে ভিন্ন, বাঁধন তার নিজস্ব গতিতে এব আবেগের সাথে কাজ করে। এই সংস্থার স্বপ্ন হল এমন একটি সমাজ তৈরি করা যেখানে হাজার হাজার স্নাতক/স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষার্থীরা রোগীদের জন্য অবিলম্বে রক্ত দান করতে এবং এভাবে হাজার হাজার বিপন্ন জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতে ‘সর্বদা নির্দ্বিধায় তৈরি’ থাকবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজস্ব চেতনা ও আদর্শ নিয়ে কাজ করছে।