বরিশালে দু’বছর ধরে বার্ন ইউনিট বন্ধ, দগ্ধদের ভোগান্তি

12

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চে আগুনে দগ্ধ রোগী ও তাদের স্বজনরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন। এই হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ প্রায় দু বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে সার্জারি ওর্য়াডের মেঝেতে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের তিন ওয়ার্ডে চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাশাপাশি রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা দগ্ধ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।আহত ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ শিশু ৩ নারী ও ৬ জন পুরুষকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বরিশাল হাসপাতালে দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে আমাদের প্রশিক্ষিত ছয় বার্ন চিকিৎসক বরিশাল যাচ্ছেন। তাদের চারজন ঢাকা থেকে যাচ্ছেন, আরও দুজন ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন; তারাও বরিশালে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশে দগ্ধের ঘটনা বাড়ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কারখানায় মানুষ দগ্ধ হচ্ছে। তাই গত সপ্তাহে একনেকে আমরা একটি প্রকল্প পাস করেছি। আটটি বিভাগের মধ্য পাঁচটি বিভাগে বার্ন ইউনিট করা হবে। ১০০ বেডের হবে এসব ইউনিট। সেখানে সকল উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করছি। ক্যানসার হাসপাতাল হচ্ছে দেশের বিভাগীয় শহরেও।