কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল পাঁচ দিন। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটক। তবে ফেসবুকে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখা যায়, গত বুধবার থেকে তিনি একাধিক পোস্ট করছেন। এগুলোর কয়েকটিতে তিনি ক্যাপশনের পাশাপাশি ভিডিও শেয়ার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সংবাদের নিউজ ও ভিডিও লিংক শেয়ার করেছেন।
গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর পরপরই প্রতিমন্ত্রী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট দেওয়া শুরু করেন। তিনি প্রতিনিয়তই নিজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের তথ্য নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে আসছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন আয়োজনের সরাসরি সম্প্রচারও করছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামেও তিনি সক্রিয় রয়েছেন। এ ছাড়া তার ভেরিফায়েড টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকেও তিনি পোস্ট করছেন। সাধারণ মানুষের জন্য ফেসবুক বন্ধ রেখে প্রতিমন্ত্রী নিজে তা ব্যবহার করছেন—এমন সমালোচনা রয়েছে নাগরিকদের মধ্যে।
অবশ্য এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন। তিনিসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোও এভাবে সক্রিয় থাকতে পারবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কবে বাংলাদেশে সবার জন্য চালু হবে, তা জানতে চাইলে জুনাইদ আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যদি বাংলাদেশের সংবিধান, আইন মানবে কি না এবং নিজেদের যে গাইডলাইন আছে, সেটা ঠিকমতো মেনে চলবে কি না, এসব নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা যদি এসে ব্যাখ্যা দিয়ে যায়, তখন সরকার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়। সরকার ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করে। কারফিউর আগেই গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরের দিন ১৮ জুলাই রাত পৌনে নয়টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরো দেশই ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল।