বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি, ২০ জেলে নিখোঁজ

এফবি মা শামসুন্নাহার নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ২১ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে। ট্রলারডুবির ৯ ঘণ্টা পর হাফেজ খন্দকার নামে এক জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ট্রলারটি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের মো. কামাল খন্দকারের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।

গেল রোববার দিবাগত গভীর রাতে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার ঢালচর ইউনিয়ন থেকে ৪৭ কিলোমিটার দক্ষিণে গভীর সাগরে এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল নোমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কতজন নিখোঁজ আছেন, তা নিশ্চিত নন তারা। সাগরের আশপাশের থানাগুলোতে খবর দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারের কাজ চলমান ছিল।

ট্রলারে ২১ জন জেলে ছিলেন। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠলে সাগর থেকে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন মাঝি। পথে অন্ধকারে হঠাৎ একটি পণ্যবাহী জাহাজ ট্রলারটিকে জোরে ধাক্কা দেয়। তখন ২১ জেলেসহ ট্রলারটি ডুবে যায়।

আবদুল্লাহপুর ইউপির চেয়ারম্যান আল এমরান প্রিন্স বলেন, গত শনিবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরকচ্ছপিয়া মাছঘাট থেকে এফবি মা শামসুন্নাহার নামের ট্রলারটি সাগরের উদ্দেশে মাছ ধরার জন্য ছেড়ে যায়। ট্রলারের প্রধান মাঝি উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা বাচ্চু মাঝি। ট্রলারে ২১ জন জেলে ছিলেন। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠলে বাচ্চু মাঝি তাঁর সঙ্গীসাথি জেলেদের নিয়ে রোববার গভীর রাতে ভোলার দিকে রওনা হন। সাগর থেকে ফেরার পথে অন্ধকারে হঠাৎ একটি পণ্যবাহী জাহাজ ট্রলারটিকে জোরে ধাক্কা দেয়। তখন ২১ জেলেসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর সোমবার সকালের দিকে বরগুনার পাথরঘাটার একটি মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা হাফেজ খন্দকার নামের এক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেন। তিনি এখন পাথরঘাটায় চিকিৎসাধীন।

চেয়ারম্যান জানান, উদ্ধার হওয়া হাফেজ খন্দকারের বাড়ি আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরশিবা গ্রামে। তার দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের মো. ইউসুফ ও দ্বীন ইসলাম (৯ নম্বর ওয়ার্ড), মো. জাকের (৩ নম্বর ওয়ার্ড), মো. জসিমউদ্দিন (৬ নম্বর ওয়ার্ড), হাজারীগঞ্জ আটকপাটের আল আমিন, মো. মাসুদ, মো. নাগর, নুরাবাদের বাচ্চু মাঝি, আবুবকরপুরের মো. শাহিন, মো. সুমন, মো. ইউসুফ, ফারুক হাওলাদার, আবদুল খালেক, রসুলপুরের দ্বীন ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মো. রফিকসহ ২০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।