বগুড়া ও জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে নবান্ন উৎসব

অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ ও লোক সংস্কৃতির বিকাশে আজ বগুড়া ও জয়পুরহাটে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বাংলা ও বাঙালীর গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরে দুপুরে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।

শহরের সাতমাথায় মুজিব মঞ্চে নতুন চালের পায়েস ও পিঠা-পুলি খেয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাজাহান আলী। পরে ওই মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া কলেজ থিয়েটারের আহ্বায়ক রবিউল করিম।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুর আহসান রিপু, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ সিদ্দিকী, বজলুর রশিদ রাজা, এড. পলাশ খন্দকার, কাহালু কলেজ থিয়েটারের সভাপতি আব্দুল হান্নান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক এইচ আলিম।

পরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

অন্যদিকে বিকালে নানা আয়োজনে জয়পুরহাট শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। নবনাট্য সংঘ, এ কে এম আবদুল আজিজ সংগীত ভুবন ও একুশে আবৃত্তি পরিষদ যৌথভাবে আয়োজন করে নবান্ন উৎসবের। ও ধান ভানরে…. গানের সঙ্গে শিশুদের নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরাফাত হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নবনাট্য সংঘের সভাপতি ও জয়পুরহাট লাইব্রেরি ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজা চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনাব্বর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ ম আব্দুর রহমান রনি প্রমুখ।

নবান্ন উৎসবে একুশে আবৃত্তি পরিষদের শিশু শিল্পীরা আবৃত্তি করেন, এ কে এম আবদুল আজিজ সংগীত ভুবনের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন এবং নবনাট্য সংঘের শিল্পীরা পরিবেশন করে গীতিনাট্য। অনুষ্ঠান শেষে চিরায়ত বাংলারে ঐতিহ্য খই, মুড়ি, মুড়কী দিয়ে অতিথিদের আপ্পায়নের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীসহ সরকারি-বে সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা নবান্ন উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।