নিজের বাবা-মার স্থানে জালিয়াতির মাধ্যমে ফুফা-ফুফুর নাম ব্যবহার করে গত ২৮ বছর ধরে পুলিশে চাকুরি করছেন মো. সাইফুল ইসলাম হাওলাদার (বাদল) ওরফে মো. সাইফুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এমনই অভিযোগে মামলা করেছেন ঢাকার রূপনগরের বাসিন্দা ফুফাতো ভাই মো. সালাহ উদ্দিন। গতকাল তিনি আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ দিথি বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ কন্সটেবল পদে চাকরি নেওয়া সাইফুল ইসলাম বর্তমানে রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইনে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত আছেন।
মো. সালাহ উদ্দিন অভিযোগ করেন, আসামি সাইফুল ইসলাম বাদীর মামাতো ভাই। বাদীর বাবা মো. শাহজাহান পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। গত ২৩ জুন তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১৪ অক্টোবর পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানার রঘুনাথপুর গ্রামে মামা বাড়িতে ওয়ারিশ সনদপত্র সংগ্রহ করতে যান। সেখানে অবস্থানকালে বাদী তার নিকট আত্মীয়-স্বজনদের কাছে জানতে পারেন তার মামাতো ভাই সাইফুল ইসলাম হাওলাদার জালিয়াতির মাধ্যমে বাদীর বাবা-মার নাম নিজের বাবা-মা ও ঠিকানা ব্যবহার করে ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করে আসছেন। তিনি জন্মসনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদেও বাদীর বাবা-মার নাম নিজের বাবা-মা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। পরে এই মামলার বাদী ঢাকায় এসে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে আসামিকে জিজ্ঞেস করলে আসামি বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বাদীকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলেন এবং বাড়াবাড়ি করলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলা ও অন্যান্য মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মীর আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আসামি হচ্ছে এ মামলার বাদীর আপন মামাতো ভাই। ১৯৯৬ সালে বাদীর বাবা-মা ও ঠিকানা ব্যবহার করে পুলিশের চাকরি করছেন। তিনি এর মাধ্যমে রাষ্ট্রর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমরা তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য মামলাটি করেছি।’
মামলার বাদী সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমার মামাতো ভাই আমার বাবা-মার পরিচয়ে চাকুরি নিয়ে এখন জানতে পারাই হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। অথচ সেটা আমার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সব জায়গায় আমার বাবা-মায়ের পরিচয়ে পরিচিত হয়েছে।’
এ সম্পর্কে আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।