কথায় আছে ‘প্রেমের মরা জলে ডোবে না’। সত্যিকারের প্রেম মানে না কোনো বাধা, মানে না কোনো জাতি-বর্ণ-ধর্ম। তাই তো প্রেমের টানে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে এক সুন্দরী নারী এবার ছুটে এসেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরে।
শনিবার সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকায় মায়ের সঙ্গে প্রেমিকের বাড়িতে আসেন ওই নারী।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার নারী সিটি হাসনার (৩২) সঙ্গে নাটোরের যুবক আনিছ রহমানের (৪২) পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক।
আনিছ রহমান নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকার জলিল রহমানের ছেলে এবং সিটি হাসনা মালয়েশিয়ার একটি শহরের মশিন জাকরির মেয়ে।
আনিছের পরিবার জানায়, ২০১০ সালে মালয়েশিয়ায় এক কর্মক্ষেত্রে নাটোরের ছেলে আনিছ রহমানের সঙ্গে মালয়েশিয়ার নারী সিটি হাসনার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ বছর ধরে চলে তাদের প্রেম। ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতার কারণে ওই নারী বাংলাদেশে আসতে পারেননি। তবে প্রেমের টানে মাঝেমাঝে বাংলাদেশি যুবক আনিছ মালয়েশিয়ায় যেতেন। অবশেষে শনিবার সকালে ওই মালয়েশিয়ার নারী নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন তার মা। রোববার নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে।
আনিছের ছোট ভাই হক সাহেব বলেন, আমার ভাই মালয়েশিয়ায় থাকা অবস্থায় তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। আমার ভাই প্রেমের জন্য এত বছর অপেক্ষা করেছে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হবে। আমরা অনেক আনন্দিত। দীর্ঘ প্রেমের পর তারা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন। পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। পরিবারের সবাই আনন্দিত।
৩নং খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন নারী খুবজিপুরে এসেছেন। তিনি যে উদ্দেশ্যে নাটোরে এসেছেন, তা যেন সফল হয়। তাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইল।
প্রেমিক আনিছ রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছরের সম্পর্ক আমাদের। পারিবারিকভাবে দুজনের ইচ্ছায় বিয়ে হচ্ছে। আমাদের নতুন জীবনের জন্য সবাই দোয়া করবেন।