প্রশাসন থেকে হাসিনার দোসরদের সরাতে এক মাসের আল্টিমেটাম

প্রশাসন থেকে হাসিনার দোসরদের সরাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে প্রশাসনের মধ্যে থেকে,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে ফ্যাসিস্ট দোসরদের সরাতে হবে। অন্যথায় আইনজীবীরা কালো কোর্ট পড়ে রাস্তায় নামবেন।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে জয়নুল আবেদীন এসব কথা বলেন। এ সময় অবিলম্বে কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ভাবতে পারিনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরও আমাদের ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে দাঁড়াতে হবে। প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনার মদদপুষ্টরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারেন। তাই অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে তৌহিদুলের মতো আর রাজনৈতিক কর্মী যেন হত্যার শিকার না হয়।

বিজ্ঞাপন

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজি কামরুল ইসলাম সজলের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সামসুল ইসলাম মুকুল, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বিশ্বাস রায়হান,অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম বন্দরের একটি শিপিং এজেন্টের কর্মী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তার স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বাবার মৃত্যুর খবর শুনে গত রোববার বাড়ি আসেন তৌহিদুল। গত শুক্রবার তার বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল।

তৌহিদুল ইসলামের ভাই আবুল কালাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি বাড়িতে আসে। তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে— এমন অভিযোগে তাকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

আবুল কালাম বলেন, আমার ভাই কখনই অস্ত্র আনতে পারে না। তার সম্পর্কে আমাদের পুরো এলাকা খুব ভালো করে জানে। আমরা বারবার বলার পরেও তারা আমার ভাইকে নিয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ আমাদের জানায়, তাকে গোমতী পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থান থেকে উদ্ধার করে। সে নাকি হাসপাতালে আছে। আমরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মরদহে দেখতে পাই। তার শরীরে বেদম মারের আঘাতের চিহ্ন আছে।

যুবদল নেতার মৃত্যুতে জড়িত সেনা সদস্যদের বিচার চেয়েছে বিএনপি। ফেসবুকে পৃথক পোস্ট দিয়েছেন বিএনপি ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।