২০২১ সালে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন খুলনা নগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি বাবুল হোসেন কাজী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে তিনি মারা যান। বাবুলের মৃত্যুর তিন বছর পর খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সোনালী সেনসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) খুলনা অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আনিচুর রহমানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বাবুলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন খুলনা সদর থানা-পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ও উপপরিদর্শক (এসআই) মনির।
পুলিশ সূত্র জানায়, ৩০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের কর্মকর্তা সোনালী সেন বর্তমানে খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মার্চ খুলনার কেডি ঘোষ রোড এলাকায় বিএনপির এক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য নগরের কেডি ঘোষ রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় বাবুল হোসেন কাজীসহ কয়েকজন অবস্থান করছিলেন। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন বাবুল। পরে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ দিন পর মৃত্যু হয় তাঁর।
বাদীর আইনজীবী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, ওই তিনজনের বিরুদ্ধে নির্যাতন, নির্যাতন করে হত্যাসহ ৯টি ধারায় মামলাটি হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা ২০২১ পান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন। ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২২’ উপলক্ষে এডিসি সোনালী সেনকে পিপিএম-সেবা পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সে সময় এককালীন ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে এক হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। হত্যা-ছিনতাইয়ের রহস্য উদ্ঘাটনে পিপিএম পদক পান সোনালী সেন।
সোনালী সেন ২০১২ সালের ৩ জুন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে যোগদান করেন। তিনি কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) হিসেবে কর্মরত থেকে নিচের মামলাগুলোর রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারে ভূমিকা পালন করেন।