চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চকরিয়াতে দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ ভাইয়ের পর এবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন গুরুতর আহত রক্তিম সুশীলও। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দীর্ঘ ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা যান তিনি।
রক্তিমের মৃত্যুর সঙ্গে ছয় জনকে হারালো পরিবার। রক্তিমের একমাত্র মেয়ে ঋর্ধী অনেকটাই স্তব্ধ, নিস্তব্ধতা কাটছে না স্ত্রী সুমনা শর্মার। স্বপ্নভাঙা চোখ তাকিয়ে আছেন ছয় ভাইয়ের স্ত্রী।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের মালুমঘাটায় পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন রক্তিম সুশীল। একই ঘটনায় রক্তিমের আরও পাঁচ ভাই মারা যান। রক্তিমসহ আহত হন ভাই প্লাবন ও বোন হীরা। যদিও হিরা ও প্লাবন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
গত ৮ ফ্রেরুয়ারি ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়া মালুমঘাট এলাকায় পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে ৪ ভাই মারা যান। চমেক হাসপাতালে মারা যায় আরেক ভাই চিন্ময় শীল।
একটি ঘটনায় একই পরিবারের ৬ ভাই হারানোয় স্বজনরা বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছেন তাদের মা মৃণালিনী শীল ও ছয় ভাইয়ের স্ত্রী। তাদের পিতা সরোজ শীলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সাত ভাই ও এক বোন পিকআপের চাপায় হতাহত হন।
নিহত রক্তিমের স্বজন নিউটন দাশ বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার শেষ হয়ে গেছে। তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত