পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নতুন সঞ্চলন লাইন, কাটা পরছে প্রায় দুই সহস্রাধিক পুরানো গাছ

আলকামা সিকদার,টাঙ্গাইল :

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া- গারোবাজার সড়কের পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় পল্লী বিদ্যুতের নির্মাণাধীন নতুন সঞ্চান লাইনের কারণে রাস্তার পাশের প্রায় ত্রিশ বছরের বয়স্ক দুই সহস্রাধিক গাছ কাটা পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।

এ সড়কের পুরনো এ সকল গাছ কাটা রোধে আলোকদিয়া ও কুড়ালিয়া ইউনিয়নের শঙ্কিত জনগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জুবায়ের হোসেন এমন লিখিত পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর জন্য আবেদনটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ২৯ অক্টোবর এলাকাবাসীর পক্ষে দেয়া ওই আবেদনে বলা হয়েছে ১২/১৩ কিমি এ সড়কের দুই পাশে প্রচুর গাছ লাগানো। বজ্রপাত রোধে লাগানো এই সড়কে অসংখ্য তালের বীজ ইতোমধ্যে গজিয়েছে। বিদ্যুতের লাইন যাওয়ার কারণে দীর্ঘ এ সড়কের বিপুল পরিমাণ গাছ কাটা পড়বে। পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।

বন ধ্বংস ও গাছ কাটার কারণে আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে- এতে এলাকার আবহাওয়ার ক্ষতি হবে। তাই গাছ কাটা থেকে বিরত থেকে বিকল্প পথে বিদ্যুত লাইন টানার অনুরোধ করা হয়েছে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাগারে কর্মরত ধামাবাশুরি গ্রামের বাসিন্দা অসংখ্য বৃক্ষ রোপণকারী বৃক্ষ প্রেমিক রবিউল আওয়াল জানান, দুই ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে যাওয়া এ পুরাতন সড়কের আলোকদিয়া, আমুয়াটা, ধামাবাশুরি, চাপড়ী এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে।

একবার দুর্বৃত্তরা গাছ কেটে নেয়ার পর খালি জায়গায় স্থানীয় তরুণদের নিয়ে নতুন করে গাছ লাগানো হয়েছে। বজ্রপাত রোধে তাল বীজ লাগানো হয়েছে। এখন এগুলো কাটা পড়লে এলাকা মরুভূমির আকার ধারণ করবে। এমনিতেই দিন দিন পরিবেশ বইরিতায় রূপ নিয়েছে। কর্তৃপক্ষকে এসব গাছ কাটা রোধের অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অন্যথায় স্থানীয়রা পরিবেশ রক্ষায় এসব গাছ টিকিয়ে রাখতে যে কোন উদ্যোগ নিতে পারেন।

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ মধুপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নুরুল আমিন জানান, একটি প্রকল্পে আরইবি এই নতুন বিদ্যুৎ লাইন তৈরি করছে। উন্নয়ন কাজে এমন ক্ষতি হওয়াটা স্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, আবেদন হয়েছে, এখন কর্তৃপক্ষ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।