বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে ঘর ভাড়া নিয়ে পতিতাবৃত্তি করার অভিযোগে বিউটি বেগম (৩৮) নামে এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পৌর শহরের রমিজ উদ্দিন সড়কের এক ভাড়াবাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে তাদের পটুয়াখালী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিউটি বেগম উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছোট বোন। অন্যরা হলেন- পটুয়াখালী পৌর শহরের ১ নং ব্রিজ চৌরাস্তা এলাকার বেল্লাল মৃধার দুই মেয়ে মরিয়ম বেগম (২৫) ও গোলাপী বেগম (২০), বাউফল উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের ইউনুস ঢালীর ছেলে জুয়েল ঢালী (২৫)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যানের বোন বিউটি বেগম পৌর শহরের রমিজ উদ্দিন সড়কে সিদ্দিকুর রহমানের বাসা ভাড়া নিয়ে নারী রেখে অসামাজিক কার্যকালাপ (পতিতাবৃত্তি) করিয়ে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস.এম নজরুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর লতিফ খান বাবুলসহ লোকজন নিয়ে মহিলা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিউটি নামে ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত। প্রায় ১বছর ধরে ভাড়া বাসায় বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে পতিতা ব্যবসা করে আসছে। সে নিজেও একজন পতিতা। তার একাধিক বিয়ে হয়। সর্বশেষ স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ভাড়া বাসায় এমন অসামাজিক কার্যকালাপ করে আসছেন বিউটি। এতে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।
বাসার মালিক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। তাদের গ্রেপ্তার করার পর বিষয়টি জানতে পারি। এখন আর তার (বিউটি) কাছে বাসা ভাড়া দিব না। আমার বাসা খালি করার যা করনীয় তাই করব।
মামলার বাদী ও বাউফল থানার পুলিশ উপপরির্দশক (এসআই) এস.এম নজরুল ইসলাম বলেন, আসামীরা অসামাজিক কার্যকলাপ করার জন্য সমবেত হয়েছিলেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, তাদের ফৌজধারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।