পটুয়াখালীর বাউফলে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি, পটুয়াখালী বাউফলে তাকিয়া (১৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকিয়া সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হোসেন হাওলাদারের মেয়ে। প্রায় ১ বছর আগে বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস এলাকার ফজলু গাজীর ছেলে মিরাজের সঙ্গে তাকিয়ার বিয়ে হয়ে। মঙ্গলবার সকালে তাকিয়ার লাশ বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী মিরাজ। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তাকিয়ার ভাবী ঝুমুর সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে তাকিয়ার উপর শাররীক ও মানসিক নির্যাতন করতো মিরাজ। যৌতুকের জন্য তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলতো শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। গত তিন দিন ধরে তাকিয়াকে প্রচুর মারধর করে মিরাজ। বিষয়টি মুঠোফোনে তাকিয়া তার ছোট ভাইকে জানায়। মঙ্গলবার সকালে শ্বশুড় বাড়ি থেকে ফোন করে তাকিয়ার অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়। বেলা ১১ টায় তাকিয়ার মা হনুফা বেগম বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পর জোড়পূর্বক তার স্বাক্ষর নেয় কয়েকজন যুবক। পরে হনুফা বেগমকে বলা হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। এরপরই তাকিয়ার স্বামী মিরাজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। মেয়ের মৃত্যুর খবর জেনে মা হনুফা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্স বলেন, তাকিয়ার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকিয়ার মা হনুফা বেগম বলেন, মিরাজ মাদকাশক্ত। সে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি বিচার চাই। অবশ্য মারধর করে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন তাকিয়ার শ্বশুড় ফজলু গাজী।

এবিষয় বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।