নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে : সিইসি

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপরিহার্যভাবে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

তিনি বলেছেন, ভোটার তালিকার বিদ্যমান ত্রুটি দূর করে ও ভোটার হওয়ার যোগ্য সকল নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। যা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য। এজন্য সকলকে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ভৌগলিক অবস্থার কারণে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মপরিকল্পনার সময়সূচি বিভিন্ন এলাকায় কম বেশি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব পাওয়া গেছে।

সিইসি বলেন, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে নির্বাচন কমিশনের আস্থার সংকট দূর করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধার আসনে বসাতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কমিশনের কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা সম্ভব হবে। জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়াই নির্বাচন কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। এজন্য নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অমূল্য অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।

মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ভালো নির্বাচনও দেখেছেন, খারাপ নির্বাচনও দেখেছেন। ভালোর অভিজ্ঞতাকে গ্রহণ করবেন, খারাপ অভিজ্ঞতাকে পরিহার করবেন। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন ওয়াদাবদ্ধ। এজন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে, কিন্তু তার বাস্তবায়ন করতে হবে নির্বাচন কমিশনের মাঠ কর্মকর্তাদের। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে নির্বাচন কমিশনের আস্থার সংকট দূর করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধার আসনে বসাতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কমিশনের কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, সেবাগ্রহীতার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সেবা সহজীকরণের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন দপ্তর প্রধানরা সপ্তাহে একদিন ওপেন ডে’র ব্যবস্থা করবেন। ওপেন ডেতে দপ্তর প্রধানগণ কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেবাগ্রহীতার বক্তব্য শুনতে পারেন এবং সেবা প্রদান বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি নজরে পড়লে তা দূরীকরণের ব্যবস্থা করবেন। সকল দপ্তরে একটি করে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করতে হবে। অভিযোগ বক্সে প্রাপ্ত অভিযোগ নিয়মিত যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে হবে। সকলকে তার কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে বিবেক ও আইন-কানুনের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে।