
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচন কবে হবে, এ নিয়ে নির্বাচন কমিমশনকে (ইসি) এখনও কোনো নির্দেশনা বা আভাস দেয়নি সরকার। তবে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা দেয়া ডিসেম্বরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাকারে এসব কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
গত বছর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা জানান তিনি। সেনাবাহিনী প্রধানও একই তথ্য দিয়েছেন।
তবে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছে বিএনপি। যদিও ভিন্ন মত রয়েছে অন্য কয়েকটি দলের। এই মতবিরোধের মধ্যে ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। তবে দিনক্ষণ নিয়ে সরকার ইসিকে কোনো আভাস দেয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই আমাদের অক্টোবরের মধ্যে সিডিউল ঘোষণা করতে হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে অমাদের সেরকম কোনো পরামর্শ বা নির্দেশনা নেই।
নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা শুরু করবে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, দলের নিবন্ধনসহ যাবতীয় প্রস্তুতি চললেও আইনি জটিলতায় আসন সীমানা পুননির্ধারণ থমকে আছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, আমরা আটকে গেছি আইন সংশোধন নিয়ে।
সিইসি আরও জানান, আগামী নির্বাচনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সেনাবাহিনী। রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার জন্য সংলাপ করবে ইসি। সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক দল ছাড়া আমরা সুষ্ঠু ভোট করতে পারব না। বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আমাদের আলাপ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো তো অবশ্যই। নির্বাচনে জেলা প্রশাসকেরা পক্ষপাতিত্ব করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও সিইসি হুঁশিয়ারি দেন।