নিজ জমিতে উদ্বাস্তু মানুষ গড়ার কারিগর নুরজহান

5

শিক্ষক হিসেবে চাকরিজীবনের কষ্টে অর্জিত বেতন ভাতা এবং টিউশনির সঞ্চিত অর্থ দিয়ে রাজধানীর বুকে কিনে ছিলেন একখণ্ড জমি। অথচ নিজ জমিতেই এখন উদ্বাস্তু, মানুষ গড়ার কারিগর অবসরপ্রাপ্ত অসহায় স্কুল শিক্ষিকা নুরজহান বেগম।

এবার ভূমি দস্যুদের মুখোশ উন্মোচনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এই স্কুল শিক্ষিকা।

তিনি বলেন, চাকরী থেকে অবসর নেবার পরে সঞ্চিত অর্থে মোহাম্মদপুরে সাত মসজিদ গৃহ নির্মান সমবায় সমিতির কিছু জমি কিনি। আমি এই সমিতির পুরাতন সদস্য। আমার প্লট নং ১২ রোড নং ০৭। যা বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে আমাকে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তুু পরবর্তীতে গিয়ে দেখি আমার জমিতে জনৈক নুর ইসলাম চাঁদ হাউজিং এর মো: আলম হোসেনের মদদে জায়গাটি দখল করে আছেন। অথচ আমি নিয়মিত সরকারি খাজনা দিয়ে আসছি। সমিতি কর্মকর্তারা তার কাছে জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে চাইলে সে এই ব্যাপারে চাঁদ হাউজিং এর সাথে যোগাযোগ করতে বলে। পরবর্তীতে সাত মসজিদ গৃহ নির্মান সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে চাঁদ হাউজিংকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়।

তিনি বলেন, খাসজমি, খাল ও জলাশয় বেদখল, অসহায় স্কুল শিক্ষিকা, প্রবাসী সহ বিভিন্ন পেশাজীবীর জমি,অবৈধ দখল করে আছে খুনি জিয়া, খলেদা-তারেকের সহকর্মী মো: আলম হোসেন (জাতীয় পরিচয়পএ নং- ২৬৯৫০৪৬৯ও৫১৫৪৪)। এই আলম একসময় বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদপুরের সাবেক কমিশনার ইকবাল, হারেছ চৌধুরীর কাছের মানুষ ছিলে। এখন মোহাম্মদপুরে কার ছত্রছায়ায় একের পর এক খাসজমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে? কে তার মদদদাতা?

এই স্কুল শিক্ষিকা বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা চাঁদ হাউজিং-এ গিয়ে অনুসন্ধান করলেই আমার কথার সত্যতা প্রমাণ পাবেন।

অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা নুরজহান বেগম আরও বলেন, আলম গংদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দখলদারির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য এবং দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অবগতিপত্র দেব।

তিনি আরও বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বামীকে পাঠিয়েছিলাম। স্বাধীন এই দেশে ভূমিদস্যুদের কাছে কোনভাবেই পরাজয় মেনে নিতে রাজি নই আমি। আমি জেনারেল জিয়ার কালো আইন ‌‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে জনমত তৈরী ও আন্দোলনকে বেগবান করতে নিজের শখের গয়না বিক্রি করে রাজপথে আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করেছিলাম।

খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে মোহাম্মদপুরের ভূমিদস্যু ও তাদের মদদদাতাদের মুখোশ উন্মোচন করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মো. আলম হোসেনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।