নতুন সরকার, আশা করি এবার বিচার পাব: ফেলানীর বাবা

১৪ বছর আগে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের মৃত্যুতে এখনও বাবা নুর ইসলামের মন কাঁদে। মৃত্যুর ১৪ বছর পেরিয়েছে নতুন সরকার আশাতক এবার বিচারের আশাও জেগেছে নুরের। নতুন সরকারের কাছে এবার হয়ত ফেলানী হত্যার বিচার পাবেন তিনি।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ আশা ব্যক্ত করে নুর।

নুর ইসলাম বলেন, ১৪ বছর হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা বিচার পাইনি। শুধু আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আমাদের চাপে রাখছিল, কোনো কথাই বলতে দেয়নি। এই সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে যেন আমার ফেলানীর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা হয়। যেভাবে নির্মমভাবে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে ফেলানকে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তাকেও যেন ওভাবে শাস্তি দেওয়া হয়। আমি চাই, আর যেন কারো মায়ের বুক খালি না হয়। সবাই মিলে রুখে দাঁড়ান যেন সীমান্ত হত্যা না হয়।

তিনি আরো বলেন, ১৪ বছর ধরে আমি আমার ফেলানীর বিচারের জন্য কাঁদছি, এখনও বিচার পাইনি! এখন নতুন সরকার আসছে; এবার আশা করি, আমি বিচার পাব।

এতে অন্যদের মধ্যে বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদ্দাসসির, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মো. আজিজ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এসময় অংশ নেয়া ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ঢাকায় এবার উঠলো ডাক,বিএসএফ নিপাত যাক’, ‘ফেলানী স্বর্ণা জয়ন্ত, হত্যা চলছে অনন্ত’- সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।