নতুন বছরে সূচনায় নিজেকে পরিবর্তন করুন নতুন পরিকল্পনায়

 

উত্তেজনা, অস্থিরতা, যুদ্ধ, আন্দোলন, অভ্যুত্থানের মাঝেই শুরু হলো নতুন বছর। পরিবর্তন হয়েছে শুধু ক্যালেন্ডারের পাতা, ঘটনাপ্রবাহ রয়ে গেছে আগের মতোই। তবে সবকিছু পাশ কাটিয়ে নতুন প্রত্যাশায় সামনের দিনগুলো কাটানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন অনেকে। জীবনের সব পরিকল্পনা, পরিবর্তনে ধর্মীয় আবহ আনার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, ক্ষণস্থায়ী জীবনের শেষে শুরু হবে অন্তত জীবন। সেই জীবনের জন্য একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করতে হবে।

সবারই পরিকল্পনা থাকে, এখন নয়, সামনের দিনগুলো থেকে নিজেকে ধর্মীয় আবহে সাজাবো। নিজের মাঝে পরিবর্তন আনবো। তবে হবে হবে করেও খুব সহজে হয়ে উঠে না। অথচ এর মাঝেই শেষ হতে চলে পৃথিবীর জীবনের নির্ধারিত সময়ক্ষণ। আকস্মিকভাবেই চলে আসে মৃত্যু। তাই জীবনের পরিবর্তনে নিজেকে পরকালের জন্য প্রস্তুত করতে বছরের শুরুতেই কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

প্রতিদিনের ফরজ ইবাদত

ফরজ ইবাদত পালন করা আবশ্যকীয় কর্তব্যগুলোর একটি। এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। অনেকেই ফরজ ইবাদত, বিশেষত নামাজ রোজার প্রতি অমনোযোগী। ঠিকমতো পালন করেন না। এবার বছরের শুরু থেকেই ফরজ ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হোন।

সুন্নত ও নফল ইবাদত

ফরজ ইবাদত আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। নফল, সুন্নত ইবাদত আমলের পাল্লা ভারী করতে এবং জীবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। রাসূল সা. নিয়মিত ফরজ ইবাদত পালনের পাশাপাশি নফল ইবাদত পালন করতেন। তিনি সাহাবিদেরও নফল ইবাদতের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।

জীবনের প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা দোয়ার আমল রয়েছে। এই আমলগুলো জীবন সহজ করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে সহজে আল্লাহর আনুকূল্য পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি দোয়ার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর রক্ষা কবজে আবদ্ধ হয়ে যান। তাই দোয়ার আমল করা প্রয়োজন সবসসময়।

প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত

কোরআন তিলাওয়াত অন্যতম একটি নফল ইবাদত। তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। হাদিসে কোরআন তিলাওয়াতকারীর বিভিন্ন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াতকারীকে আল্লাহর পরিজন বলা হয়েছে।

তওবা

জীবনের প্রতি মুহূর্তে মানুষ গুনাহ করে ফেলে। গুনাহ প্রবণ অন্তর দিয়েই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে গুনাহের পর তওবা করে ফেলা জরুরি। কেউ যদি গুনাহের ওপর অটল থাকে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করেন না। পবিত্র জীবনযাপনের সুযোগ কেড়ে নেন। মানুষ সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কখনো হয়তো গুনাহ হয়ে যাবে। এবং তওবার মাধ্যমে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে।