ধর্মের কথা বলে ভক্তকে অজ্ঞান করে পীরের ধর্ষণ

29

গাজীপুরে কথিত পীরের বিরুদ্ধে এক ভক্তকে অজ্ঞান করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগীর স্বামী থানায় মামলা করলে পুলিশ কথিত ওই পীরের সহযোগী সাগর আলীকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার সাগর আলী গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি আমবাগ মিতালী ক্লাব উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে। সে গাজীপুর সিটি করপোরেশন অঞ্চল ৭-এর আমবাগ অফিসের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত আছে। ঘটনার পর থেকে কথিত পীর মাসুদ মিয়া (৫০) পলাতক। পীর মাসুদ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সাফর্তা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, ভুক্তভোগী নারী বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তার দুই সন্তান রয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে তার ননদের স্বামী সাগর আলী কথিত ওই পীরের মুরিদ। এর সুবাদে ভুক্তভোগীও ওই পীরের ভক্ত ছিলেন। মাসুদ মাঝে মধ্যেই সাগর আলীর বাসায় আসা-যাওয়া করতো এবং বিভিন্ন নীতিকথা শোনাতো।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পীর এসেছে জানিয়ে সাগর আলী ওই নারীকে তার বাসায় আসতে বলে। ননদের স্বামীর কথামতো স্বামী ও দুই সন্তানকে ঘরে রেখে ওই বাসায় যান তিনি। এ সময় আগের মতোই কথিত পীর ধর্মীয় দিকনির্দেশনামূলক কথাবার্তা শোনায়। রাত ১১টার দিকে ননদের স্বামী ভুক্তভোগীকে একটি পান খেতে দেন। পান খাওয়ার পর ওই নারী অজ্ঞান হয়ে গেলে ভুক্তভোগীকে চৌকিতে শুইয়ে দেয় সাগর। কিছুক্ষণ পর মাসুদ গিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করতে থাকে। এ সময় ভুক্তভোগীর স্বামী হঠাৎ এসে বিষয়টি দেখে ফেলেন। তখন তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় কৌশলে কথিত পীর মাসুদ মিয়া পালিয়ে যায়।