রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানা এলাকায় দুই কিশোরকে কুপিয়ে জখম করা এবং দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে নাচানাচির ভাইরাল ভিডিওর ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১১ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহমখদুম থানা পুলিশ ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাদের গ্রেফতার করে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে আরএমপি মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম প্রিয়দেশ নিউজ কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- নগরীর শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়ার মাসুমের ছেলে সোহেল রানা (২১), একই এলাকার রাজু আহমেদের ছেলে মনিরুল ইসলাম অপূর্ব (২২), নজরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম সম্রাট (২১), আব্দুর রহিমের ছেলে নাজমুস সাকিব আবির (২১), রিপন শেখের ছেলে মোহাইমিনুল শেখ (২০), জসিম উদ্দিনের ছেলে জিসাদ (২০) ও বড়বনগ্রাম চকপাড়ার সালাম হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (২১)।
আরএমপি মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নগরীর শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়ার আরডিএ মাঠের সামনে থেকে আরাফাত ও তার বন্ধু সাব্বিরকে গ্রেফতার আসামিরাসহ কয়েকজন অপহরণ করে বনলতা আবাসিক এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আরাফাত ও সাব্বিরকে গুরুতর জখম করে। এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার শাহমখদুম থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
অন্যদিকে সন্ধ্যা থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আরাফাত ও সাব্বিরকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা গুরুতর জখম করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিরা রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম গাঙপাড়া এলাকায় হাতে দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে নাচানাচি করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নজরে আসে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আরএমপির শাহমখদুম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নুর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরজিনা খাতুনের নেতৃত্বে শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন, শাহমখদুম থানা পুলিশ ও আরএমপি ডিবির যৌথ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিনগত রাতে শাহমখদুম থানা এলাকাসহ রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১১টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আরাফাত ও সাব্বিরকে গুরুতর জখমের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।