দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা খুনের মামলায় আসামি হওয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমন্বয়ক শেখ রবিউল আলম রবির পদ স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অমান্য করে দখলদারি, চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে সমালোচনায় পড়েন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম রবি। সর্বশেষ তার নাম এসেছে ফ্ল্যাট নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হওয়া তানজিল জাহান ইসলাম তামিম হত্যাকাণ্ডে। পুলিশ এ হত্যার ঘটনায় শেখ রবির প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে। এরপর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারে খুঁজছিল পুলিশ। এরমধ্যেই তার পদ স্থগিত করা হলো।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নৈতিকতা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিকে শোকজ করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ শোকজ করা হয়। একইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নয়াপল্টনে চিঠির জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেসময় বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের মাধ্যমে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিলেন শেখ রবি। তবে শেষ রক্ষা হলো না তার।
সময় টিভিতে শেখ রবির চাঁদাবাজি
৫ আগস্টের পর বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভি ভাঙচুরের হুমকি দিয়ে পরে রক্ষার দায়িত্ব নেন শেখ রবিউল আলম। একপর্যায়ে সেসময় বিএনপি নেতা রবিউল আলম সময় টিভি কর্তৃপক্ষ থেকে কয়েক কোটি টাকা চাঁদা নেন। চাঁদা নেওয়ার পর তার লোকজন সময় টিভি পাহারা দিয়েছিল বলেও সেসময় অভিযোগ উঠেছিল।
এছাড়াও ৫ আগস্টের পর শেখ রবিউল আলমের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে বিগত দুই মাসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনাকে থোড়াইকেয়ার করে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন বিএনপির এই নেতা। এখন শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যাট দখল করতে গিয়ে খুনের আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এই নেতা।