দিঘলিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নের পূজার সব পস্তুতি সম্পন্য

শাহাদাত হোসেন নোবেল, খুলনা দিঘলিয়া:

খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় শেষ মুহূর্তের প্রতিমা তৈরীর প্রস্তুতি। সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজার আর মাত্র ১ দিন বাকি। পূজার মূল উপাদান প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ। তবে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেকেই মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে ঘুরে দেখছেন প্রতিমা ও সকল পস্তুতি । পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এবছর দেবী দূর্গা আসবেন দোলায় চড়ে আর মর্ত ত্যাগ করবেন ঘোটকে চড়ে। সোমবার ৯ অক্টোবর ৬ষ্ঠী তিথির মাধ্যমে দূর্গা পূজার মূল আয়োজন শুরু হবে। রবিবার ১২ অক্টোবর বিকেলে দশমীতে মা-দূর্গাকে বিষর্জনের মধ্য দিয়ে এই মহাযজ্ঞের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

সব পস্তুতি সম্পন্য পূজার আর বাকি ২ দিন।
এবছর দিঘলিয়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট ৬১টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দিঘলিয়া ইউনিয়নে ৬ টি, বারাকপুর ইউনিয়নে ১৭ টি, সেনহাটি ইউনিয়নে ৮টি, গাজিরহাট ইউনিয়নে ২৭ টি, আড়ংঘাটা ইউনিয়নে ২টি এবং যোগীপোল ইউনিয়নে ১টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলার বিভিন্ন মন্দির এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাটির কাজ শেষে এখন রংতুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। আবার কেউ রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন প্রতিমার সৌন্দর্য। এ মুহূর্তে শিল্পীদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন তারা। শিল্পীরা প্রতিমার পরিপূর্ণ রূপ দিতে রংতুলির শেষ আঁচড়ে রাগিয়ে তুলছেন প্রতিমা। কেউ আবার অন্যান্য সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

সন্জীত নামের এক কারিগর বলেন, বেশিরভাগ মাটির কাজ শেষ। দেব- দেবীর মুখ অবয়বের ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ করেছি। চলছে রংতুলির কাজ। হোগলার চট, বস্তা ও মাটি দিয়ে মা দূর্গার শাড়ি বানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ দিঘলিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু সৌমিত্র দত্ত বলেন, সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পুজা উপলক্ষে সব হিন্দুধর্মীয় নারী-পুরুষরা এবার ব্যাপক আনন্দ উল্লাস করবে। আশাকরি সবাই মিলে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে পারব আমরা।
তিনি বলেন, দিঘলিয়ায় এবার ৬১টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রতিটি মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশাকরি সবাই মিলে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে পারব আমরা।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ বলেন, এবছর উপজেলায় ৬১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণভাবে পুজা অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ থাকে যে, শান্তিপূর্ণভাবে পুজা উদযাপনের লক্ষ্যে শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত যৌথ বাহিনী এবং পুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনী সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবেন।