কোপা আমেরিকায় কানাডার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। মাঠের পারফরম্যান্সেও দেখা গেল দাপুটে আর্জেন্টিনার পুরো চিত্র। স্কোরলাইন যদিও বলছে আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতেছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। তবে নব্বই মিনিটের খেলায় আলবিসেলেস্তেরা ছিল আরও বেশি পরিণত। কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেললেন চ্যাম্পিয়নদের মতোই। তাতে টানা দ্বিতীয়বার এবং শেষ আট কোপায় ৬ষ্ঠবার ফাইনালে চলে গেল আর্জেন্টিনা। এদিকে ফুটবল মাঠে যেকোনো কিছুই হতে পারে, সেই প্রত্যাশা নিয়েই নেমেছিল কানাডা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এদিন সেমিফাইনাল খেলতে নামা কানাডা পুরো ৯০ মিনিট খেলে কেবল দুইটি শট টার্গেটে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কানাডার রক্ষণভাগের ফুটবলারদের ব্যস্ত সময় পার করতে হয় মেসি-আলভারেজদের সামাল দিতেই।
নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে তৃতীয় মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার আদায় করে নেয় কানাডা। কাইল লারিনের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে জ্যাকব শাফেলবার্গ যে শটটি নেন, তা চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। পরে ম্যাচের ১২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের পোস্টে প্রথম শট নেয় আর্জেন্টিনা। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে কানাডা বক্সের কাছে এসে লিওনেল মেসিকে পাস দেন ডি মারিয়া। তবে মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে এসে কাঙ্ক্ষিত লিড পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে অনেকটা ফাঁকায় আলভারেজের দিকে বল বাড়ান ডি পল। বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে জালের দেখা পান আর্জেন্টাইন নম্বর নাইন। প্রথমার্ধে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসিও। তবে তার শট গোলবারের বাইরে চলে যাওয়ায় স্কোরশিটে নাম তোলা হয়নি বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারের। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে কানাডার জোনাথন ডেভিডের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
বিরতির পর ৫১ মিনিটে কানাডা গোলটি হজম করে নিজেদের রক্ষণের ভুলে। মেসি বক্সে থাকা অবস্থায় কানাডার এক ডিফেন্ডার রক্ষণে বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে আর অফসাইড নিয়ে ভাবতে হয়নি। এনজো ফার্নান্দেজ বক্সের জটলার মধ্যে শট নিলে মেসি তাতে শুধু পা ছুঁইয়েছেন। আর তাতেই ২-০ গোলের লিড পায় তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।