দক্ষিণ কোরিয়ায় লিথিয়াম কারখানায় সোমবারের অগ্নিকান্ডে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তকারীরা মঙ্গলবার একটি লিথিয়াম কারখানার পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষে একটি বিশাল অগ্নিকান্ডের কারণ খুঁজে বের করেছে, এটি দেশের সবচেয়ে খারাপ কারখানা বিপর্যয়।
ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ১৭ জন চীনা নাগরিক সহ ২৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে,তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
ফায়ার ফাইটার কিম জিন-ইয়ং সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা নিহতদের দেহ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছি।’
সরকার মঙ্গলবার তার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে, আগুন লাগার সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলোর সমন্বয়ে তদন্তকারীরা ভবনে প্রবেশ করেছে।
কারখানায় ১০০ জনেরও বেশি লোক কাজ করছিলেন তখন শ্রমিকরা দ্বিতীয় তলা থেকে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিল, সেখানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলো পরিদর্শন এবং প্যাকেজ করা হচ্ছিল।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারখানা ভবনের প্রবেশপথের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সাদা ধোঁয়া ২০ সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে এলাকাটি ভরে গেছে এবং লোকেরা দৌঁড়ে বেরিয়ে আসছে।
যে এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল সেখানকার কর্মীরা সম্ভবত দ্রুত বিষাক্ত ধোঁয়া আক্রান্ত হয়,ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলেছে,এটি লিথিয়ামের আগুন ছিল,তাই নিভানোর জন্য শ্রমিকদের প্রচেষ্টা কাজ করত না।
লিথিয়াম ব্যাটারি প্লান্ট অ্যারিসেলের মালিক ও সিইও পার্ক সুন-কোয়ান মঙ্গলবার আগুনের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন,বলেছেন যে কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের‘প্রয়োজনে সব উপায়ে সমর্থন করবে’।
সংস্থাটি তদন্তকারীদের সাথে সহযোগিতা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটির পুরো বিল্ডিং জুড়ে ড্রাই-পাউডার অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রয়েছে এবং কর্মীদের জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ মহড়া পরিচালনা করেছে।
সিউলে চীনা রাষ্ট্রদূত জিং হাইমিং সোমবার গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন, এটিকে একটি ‘দুর্ভাগ্যজনক এবং হৃদয়বিদারক’ ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন
আন্তর্জাতিক দক্ষিণ কোরিয়ায় লিথিয়াম ব্যাটারির আগুনে ২৩ জনের মৃত্যু
প্রবেশ কর
স্বাগত! আপনার একাউন্টে লগ ইন
Forgot your password? Get help
পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার
আপনার পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার
একটি পাসওয়ার্ড আপনার ই কর্মপরিহিত করা হবে.