তাবলীগ জামাতের শীর্ষ অসুস্থ বর্ষিয়ান মুরুব্বি হযরত সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম সাহেব সহ মূলধারার সাথীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সাদপন্থী গ্রুপ।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা মনে করছি তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (সাদপন্থীদের) উপর বিগত ৭বছর জুলুম নির্যাতন ও বৈষম্যের অংশ হিসাবেই পরিকল্পিতভাবে গুজব অপপ্রচার ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমে তাবলীগ কাজকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেছেন মানুনুল হক এর মতো রাজনৈতিক নেতারা। এর দুদিন আগে সমাবেশ করে মামুনুল হক তুরাগ তীর রক্তে লাল করার ঘোষনার অংশ হিসাবে টঙ্গীর পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।
এর আগে ৫ নভেম্বর মাদরাসার ছাত্রদের এনে সরওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে তাবলীগ জামাতের সাদ অনুসারীদের সকল কাজ নিষিদ্ধ করার দাবী করে, ও কাকরাইল বিশ্ব অবৈধ দখলের ঘোষণা দিয়ে কিছু উগ্রপন্থী আলেমরা পরিস্থিতি উতপ্ত করেছেন। এছাড়া ১৭ ডিসেম্বর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম মধ্যস্থতা করে যখন বিষয়টি মীমাংসার দিকে নিচ্ছিলেন, তখনই যারা এই বিরোধ জিয়ে রাখতে চায় ও মিমাংসা না করে একচেটিয়াভাবে তাবলীগের নিয়ন্ত্রণ চায় তারা এই সংঘাত তৈরি করে রাস্তায় থাকা আমাদের উপর সাথীদের উপর হামলা করেছে। গতকাল আমাদের বিরোদ্ধে মিথ্যা মামলায় বেলাল হোসেনের নাম উল্লেখ করলেও সে আমাদেরই সাথী। আমরা এ বিষয়ে মামলা দিতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। আমাদের সাথী নিহত হওয়ার পরেও আমরা মামলা করতে পারছি না। যা চরম অমানবিক বৈষম্য। উল্টো আমাদের মুরুব্বি মুফতী মুআজ বিন নূরের মাদরাসায় হামলা ও তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমরা দ্রুত তার মুক্তি চাই। গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি ১৬ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে আমাদের সাথীদের উপর কওমী মাদরাসার ছেলেদের দিয়ে হামলা ও আমাদের বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা বাড়িঘরে বর্বর হামলা করা হচ্ছে। আমরা দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকুক তা সবোর্চ্চভাবে চাচ্ছি, সবর ও ধর্য্য ধরছি৷ এই পরিস্থিতি, বৈষম্য ও জুলুম অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের শতশত আহত সাথীদের হাসপাতালে চিকিৎসা করতে দেয়া হচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে একাধিক সাথীকে কিডনাফ করা হয়েছে, যা গনমাধ্যমেও এসেছে। কিছু সাথীকে গুম করার মতো ঘটনা ঘটেছে। টঙ্গী ময়দানে ১৪৪ ধারা জারি করলে আমরা সরকারী সিদ্ধান্ত মেনে গতকাল ময়দান খালি করলেও, গতকাল থেকেই সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে না রেখে তাদেরকেই আবার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এরকম সকল বিষয়ে যা সরাসরি আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে।
সাদপন্থীরা বলেন, সারাদেশে আমাদের উপর আক্রমন নির্যাতন, গ্রেফতার, মসজিদে মসজিদে নামাজ ও ইবাদতে বাধা দেয়া আইন করে বন্ধ করা না হলে বাংলাদেশ ভয়াবহ ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত ও গৃহ বিবাদের দিকে চলে যাওয়ার আশংকা করছি। সবার ধর্মীয় ও সংবিধানিক মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হোক। এবিষয় সরকার, মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম, বিবেকবান সুশিল সমাজ ও জাতিসংঘসহ সকল জাতীয় আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা আমরা কামনা করছি।