চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগে ফুফু-ফুফাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা করেছেন এক তরুণী। বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে মামলাটি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন—ওই তরুণীর ফুফু নুপুর বেগম, ফুফা নজরুল ইসলাম ও বন্দর থানাধীন নরকাঠী এলাকার সোহেল খান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৪ মাস আগে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। পারিবারিক কারণে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে বিয়ের দুমাস পর বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি। বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁর ফুফু নুপুর বেগম তাঁকে ঢাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। নিজের আর্থিক উন্নতির কথা চিন্তা করে ফুফুর কথায় রাজি হন ওই তরুণী। নয় মাস আগে মা-বাবাকে না জানিয়ে ফুফা নজরুল ইসলাম ও নরকাঠী এলাকার সোহেল খানের সহায়তায় ঢাকার শনির আখড়ায় ফুফুর বাসায় যান তিনি। এরপর ওই তরুণী সেখানে দেহ ব্যবসার চিত্র দেখতে পান।
এর কয়েক দিন পর ওই তরুণী চাকরির ব্যাপারে জিজ্ঞাস করলে তার ফুফু দেহ ব্যবসা করতে হবে বলে জানান। কিন্তু, ওই তরুণী এতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধরের পর একটি কক্ষে বন্দি করে রাখা হয়। তাকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে পাঁচ মাস দেহ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হয় তাঁকে।
এর দুমাস আগে ওই তরুণী তার ফুফুর বাসার গৃহপরিচারিকার সহায়তায় পালিয়ে বরিশালে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মামলা করায় বিলম্ব হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এই বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ওই তরুণীর অভিযোগ আমলে নিয়ে রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’