সংসার নিয়ে ঝামেলায় আছেন ছোটপর্দার পরিচিত অভিনেতা সিদ্দিক ও মারিয়া মিম। প্রায় ৮ বছর এক ছাদের নিচে থাকলেও এখন তাদের বনিবনা হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সিদ্দিকের স্ত্রী মিম ডিভোর্স দিতে চাইছেন।
সিদ্দিকের স্ত্রী মারিয়া মিম বিয়ের আগে থেকেই মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। তিনি চাইছেন নিয়মিত কাজ করতে। তবে সিদ্দিক বললেন, আমি চাই না আমার স্ত্রী মিডিয়াতে কাজ করুক। আমি চাই সে আমার সংসার দেখাশুনা করুক। আমাদের একমাত্র ছেলে লেখাপড়া করছে। তার ঠিকমত যত্ন নিক। কিন্তু সে (মারিয়া মিম) কোনোভাবেই আমার কথা শুনতে রাজি না।
সিদ্দিকের স্ত্রী মারিয়া মিমের কথাও একইরকম। তিনি বলেছেন, সিদ্দিক চায় না মিডিয়াতে আমি ক্যারিয়ার গড়ি, প্রতিষ্ঠা পাই। সিদ্দিকের কারণে অনেকদিন কাজ থেকে দূরে ছিলাম। সম্প্রতি আবারও কাজে ফেরার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন সিদ্দিক আমার প্রতিটা কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাকে কোনো কাজ করতে দিচ্ছে না। আমি যেখানেই কাজ করতে যাই, সেটা জানার পর সেখানে সে না করে দিচ্ছে। দুদিন আগে এফডিসিতে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং ছিল। সেখানেও সিদ্দিক বাধা দিয়ে কাজ করতে দেয়নি।
মারিয়া মিম বলেন, লম্বা সময় সিদ্দিকের সঙ্গে কাটিয়েছি, আর সম্ভব হচ্ছে না। অনেক চেষ্টা করেও তার কাছ থেকে মিডিয়াতে কাজের অনুমতি পাইনি। গত জুলাই মাস থেকে পরস্পর আলাদা থাকছি। আট বছরের সংসারের ইতি টেনে সিদ্দিককে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগির তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠাবো।
এ প্রসঙ্গে সিদ্দিক সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, আমার আর্থিক অবস্থা এতোটা খারাপ না যে, আমার বউকে মিডিয়াতে কাজ করে রোজগার করতে হবে। আমি তাকে শতবার বুঝিয়েছি মিডিয়াতে কাজ করা লাগবে না। সংসার, সন্তান দেখাশুনা করুক। আমার ঘরের রানী হয়েই থাকুক। সে নাছোড়বান্দা! সংসারের চেয়ে তার কাছে মিডিয়াই বড় হলো।
নিজে মিডিয়াতে কাজ করছেন, স্ত্রী করলে সমস্যা কোথায়? এমন প্রশ্নে সিদ্দিক বলেন: আমাদের একমাত্র সন্তানের বয়স ৬ বছর, সে নার্সারিতে পড়ছে। আমি চাই না আমার বাচ্চা বুয়ার কাছে বড় হোক। ছেলেটা বর্তমানে আমার কাছে। মিম জুলাই মাসের ২৬ তারিখ আমার বাসা থেকে রাগ করে চলে যায় তার ভাইয়ের বাসায়। শুনলাম সে নাকি আমাকে ডিভোর্স দেবে। সে যদি আমাকে ডিভোর্স দেয় তবে তার ব্যাপার। ডিভোর্স দিয়ে কাজ করুক। তার আগে কোনোভাবেই কাজ করতে পারবে না। তবে আমি চাই, তার সঙ্গে সংসার করতে। কিন্তু মিডিয়াতে কাজ করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সিদ্দিক।ছোটপর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ অভিনেতার দর্শকনন্দিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাউসফুল, গ্র্যাজুয়েট, মাইক, হাম্বা, বন্ধু এবং ভালোবাসা, সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, ড্যান্স ডিরেক্টর, চৈতা পাগল, বরিশালের মামা ভাগ্নে, আমাদের সংসার, রেডিও চকলেট, চৌধুরী সাহেবের ফ্রি অফার ইত্যাদি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সিদ্দিক রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয়। গেল জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা) থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু, মনোনয়ন পাননি।