দুর্নীতি-অনিয়ম, সিজিপিএ বিক্রি ও নারী কেলেঙ্কারির মতো ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ এবং সাংবাদিকতা পেশায় নিযুক্ত ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় সারাদেশে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

এরই মধ্যে ফাঁস হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেনের সাথে সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মুছা মল্লিকের একটি কল রেকর্ড৷ সেখানে দেখা গেছে সাংবাদিক সমিতি বন্ধ করলে প্রক্টর মুছা মল্লিকের সমস্ত টিউশন ফি মওকুফ করার প্রস্তাব করলেও মুছা মল্লিক সেটা প্রত্যাখান করেন৷ এবং ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করার অধিকার চান৷

জানা যায়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি ২০২০ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসময়ের মধ্যে তারা বিভিন্ন সময় দুর্নীতি-অনিয়ম, রেজাল্ট বিক্রি ও নারী কেলেঙ্কারির মতো বিষয় নিয়ে সাহসিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সংবাদ করে। সর্বশেষ বসন্ত উৎবের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয়। এরই সূত্র ধরে গত বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ও রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) মো. আবু তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত দশ শিক্ষার্থীকে এ বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।

এরই মধ্যে সাংবাদিক সমিতি বন্ধ করতে টিউশন ফি মওকুফের প্রলোভন দেয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মুছা মল্লিককে বলছেন, সিভিলের ওই বিষয়টা নিয়ে তোমরা বেশি লেখালেখি করার কারণে কতৃপক্ষ আরো নাখোষ হয়েছে। তুমি যদি লেখাপড়া করতে চাও তাহলে এটা নিয়ে হয়তো অথরিটির সাথে তোমার পক্ষ হয়ে কথা বলে যতদূর পারি, হয় ফুল ফ্রি নয়তো যতদূর পারি আমি তোমার টিউশন ফি মওকুফ করে দিবো। এখন সেটা যদি তুমি চাও।

পরবর্তীতে রেকর্ডে শোনা গেছে, মুছা মল্লিক সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন৷ এবং বলেছেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা সাংবাদিকতা করার অধিকার চাই৷

অডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ব্যাক্তিগতভাবে মেসেজ দিয়ে সমিতির ওই শিক্ষার্থীকে জানান, তোমাকে টিউশন ফি’র ব্যাপারে হেল্প করা কি আমার অপরাধ ছিল? আমার পারমিশন ছাড়া ভয়েজ রেকর্ড করা কি জার্নালিজমের এথিকসে পড়ে?

পরে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে অডিও ফাঁসের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।