ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারে সরকারি পেরিফেরি (খাস) জমি জবর দখল করে এক শিল্প প্রতিষ্ঠানের যাতায়াতের মূল রাস্তা বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মুহাব্বুর রহমান (দিপ) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে মুহাব্বুর রহমান (দিপ) বলেন, মুন্সিরহাট বাজারে খলিশাকুড়ি মৌজার ৩২৫ এস,এ খতিয়ানভুক্ত ৭০৩ নাম্বার দাগে আমার শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানের মানুষ, মাহিন্দ্র, ট্রাক ইত্যাদি যানবাহন পাশ্ববর্তী পেরিফেরিভুক্ত ৭০৪ নাম্বার দাগের কিছু অংশের রাস্তা দিয়ে ৩০/৪০ বছর যাবত চলাফেরা করে আসছি। এ অবস্থায় জমির মালিক দাবি করে দেবীপুর পাঠানপাড়ার মাসুম বিল্লাহ নামে এক ব্যক্তি ও তার চাচাতো ভাই একই গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে আব্দুল আজিজ, আব্দুর রহিম, আবু আজাদ আনসারী ও আব্দুর রহমান দোকান ঘর বসিয়ে জোরপূর্বক দখল করতে যায়। পরে ফোন পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাট কমিটির লোকজন দিয়ে নিয়ম না মেনে করা অবৈধ দোকান ঘরটি ভেঙ্গে দেয়। বর্তমানে আমার শিল্প প্রতিষ্ঠানের চলাচলের মুল রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
মুন্সিরহাটের ইজারাদার নবী হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ৭০৪ সহ বেশ কয়েকটি দাগের জমি পেরিফেরীভুক্ত (খাস) হিসেবে বাজারের লোকজান দোকান পাঠ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আমরাও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ৯৯ সালে এটি পেরিফেরিভুক্ত হয়ে গেছে। এখানে শিল্প প্রতিষ্ঠানের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে অবৈধভাবে দোকান করা অন্যায়।
জমির মালিক দাবিকারী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার দলিল আছে। তবে আমি আব্দুল আজিজ গংদের কাছে জমি বিক্রি করিনি। আর সরকার জমিটিকে পেরিফেরিভুক্ত করেছে এ বিষয়ে আমাকে কোন নোটিশ প্রদান করেনি।
সদর উপজেলার দেবীপুর সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল বাসেদ বলেন, উল্লেখিত ৭০৪ নাম্বার দাগটি পেরিফেরিভুক্ত (খাস) হয়ে যায়। বর্তমানে ওই দাগের বিপরীতে খাজনা নেওয়া বন্ধ রয়েছে। ওই দাগের জমি বর্তমানে কেনা-বেচা সম্পুর্ন নিয়মবহির্ভূত।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান বলেন, পেরিফেরি হওয়া হাটের জমি কোনভাবেই কেনা বেচা করার নিয়ম নেই। যদি কেউ করে থাকে সেটা আইন বহির্ভুত। প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।