ঠাকুরগাঁওয়ে কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে শুধুমাত্র জামিন সংক্রান্ত বিষয় সমূহ ভার্চুয়াল আদালতে শুনানী কার্যক্রম শুরু হয়ে মঙ্গলবার ৪টি মামলার শুনানীর মধ্যদিয়ে ডিজিটাল এ কার্যক্রম চালু হয় জেলায়।
প্রথম দিনে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ ৪টি মামলার শুনানী করেন। রানীশংকৈল কাশিপুর চিকন মাটি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল করিমের মিস কেস মামলায় জামিনের আদেশ দেন তিনি। শুনানীতে সরকারী পিপি এ্যাড. শেখর কুমার রায় ও আসামীপক্ষে এ্যাড. ফজলে রাব্বি বকুল নিজ চেম্বারে বসেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার কাজ পরিচালনা করেন।
তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে (যেমন:- ই-মেইল আইডি, মোবাইল নম্বর) চিহ্নিত করে আইনজীবীগণ স্ব-স্ব পরিচয় জমা প্রদানের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। এক্ষেত্রে মামলা শুনানীর ১৫ মিনিট পূর্বেই জরুরী সংশ্লিষ্ট ধাপসমূহ অনুসরণ পূর্বক আদালতে ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে জামিনের আবেদন দাখিল করবেন আইনজীবীগণ। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আদালতের কার্যক্রম চালানোর এ পদক্ষেপকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন জেলার সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজিতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গায়ে কেরাসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যায় । চাঞ্চল্যকার এ হত্যাকান্ডে জড়িত মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ এম.এম সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জন আসামীর প্রত্যেককে মৃত্যুদন্ড দেন বর্তমান ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ।
ওই সময়ে তিনি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত