সারাদেশে পেঁয়াজের বাজার যখন অস্থিতিশীল তখন ঠাকুরগাঁও কাঁচামাল আড়তে ঘটেছে পেঁয়াজ গায়েব হবার মত ভৌতিক ঘটনা। পুরো আড়ত জুরে কোথাও মিলছে না পেঁয়াজ।
পেঁয়াজ কিনতে আসা বিভিন্ন ক্রেতারা বলেন, হঠাৎ পেঁয়াজের ওপর এমন ভৌতিক ঘটনা কেন ঘটলো জানিনা। কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজের আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে আমরা পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছি আর আজকে গোটা আড়তে কোন পেঁয়াজ খুজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
আড়তদারেরা জানান, চাহিদার তুলনায় অনেক কম পেঁয়াজ পেয়েছি আমরা। আমাদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম বস্তা পেঁয়াজ পেয়েছি আমরা। যেখানে আমাদের দৈনিক ৪০ থেকে ৬০ বস্তারো অধিক পেঁয়াজের দরকার সেখানে আমরা পেয়েছি ৫-১০ বস্তা। এত কম পরিমাণের পেঁয়াজ সকালেই বিক্রি হয়ে গেছে তাই আমাদের কাছে আর কোন পেঁয়াজ নেই।
আড়ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ইসলাম বলেন, আজকে প্রশাসনের উপস্থিতিতে সঠিকভাবে আড়তদারদের পেঁয়াজ বণ্টন করা হয়েছে। কেউ যেন কারচুপি করতে না পারে তাই সকলকেই লাইনের মাধ্যমে ১০৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে ঠাকুরগাঁও আড়তে যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ পাওয়া যাবে এবং ৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হবে বলে জানান তিনি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী জানান, আমরা আজ সকালে ঠাকুরগাঁও কাচাবাজার আড়তে ছিলাম। আমাদের উপস্থিতিতেই ১০৫ টাকা দরে আড়তদারদের নিকট লাইন ধরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজ না থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।