টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে ৩০ হাজার ৫শ’ ইয়াবাসহ আটক ৪

55

হেলাল উদ্দিন: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার আমতলী ও গোদারবিল এলাকায় র‌্যাব-১৫ অভিযান চালিয়ে তিরিশ হাজার পাঁচশত ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে। এসময় চার মাদক কারবারীকে আটক করা হয়।

আটক মাদক কারবারীরা হলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিলের (ছিদ্দিকের বাড়ি) মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ(২৬)। উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ১০ নম্বর ক্যাম্পের, ব্লক-এইচ/৩১ এর বাসিন্দা মৃত ফজল আহাম্মদের ছেলে রোহিঙ্গা মোঃ শাকের (৩০), একই ক্যাম্পের একই ব্লকের বাসিন্দা মৃত জাফর আলমের ছেলে মোঃ সৈয়দ নুর (২৭) ও মোঃ অলি হোসেনের ছেলে মোঃ ইউনুছ (৩০)।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, শুক্রবার ২২ মার্চ র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোদারবিল এলাকার ছিদ্দিকের পশ্চিমমূখী ৪ রুম বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্ধকারের সুযোগ ৩/৪ জন ব্যক্তি কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহে এবং বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে, একইদিনে র‌্যাব-১৫ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ীর পূর্বে তেচ্ছিব্রীজ বাজারের মেসার্স জয়নাল অটো ওয়ার্কসপ নামক দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর কতিপয় মাদক কারবারী মাদকদ্রব্য ইয়াবা বড়ি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন ব্যক্তি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত মাদক কারবারীরা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহপূর্বক নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে স্থানীয় এলাকাসহ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকে।

তিনি আরও জানান,উদ্ধারকৃত ইয়াবা বড়িসহ আটককৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।